কাঁচা মরিচের কেজিতে বেড়েছে ১৬০ টাকা, নাগালের বাইরে সবজির দাম
বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজিতে বেড়েছে ১৬০ টাকা, নাগালের বাইরে সবজির দাম

টানা বৃষ্টির কারণে নীলফামারীতে সব ধরনের সবজির দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। জেলার ছয় উপজেলায় মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৪০-১৬০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচের দামও আকাশছোঁয়া।

এ ছাড়াও, উসতা, মুলা, কচুর লতি, চিচিঙ্গা, গোল বেগুন, করলা, লম্বা বেগুন, পটল, ধনে পাতা, ঢ্যাঁড়স, বরবটিসহ সব ধরনের সবজির দাম আকাশচুম্বী।

বুধবার (৮ অক্টোবর) জেলা শহরের গাছবাড়ী, নিউমার্কেট, মাথার মোড়, উকিলের মোড়, জেলা শহরের কিচেন মার্কেট, কালিতলা বাজার, আনন্দ বাবুর পুল ও টুপির মোড় কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজি ও কাঁচা মরিচ এখন ভোক্তাদের নাগালের বাইরে।

করলার কেজি ৬০ থেকে ৮০, গোল বেগুন ৮০ থেকে ১০০, ঢ্যাঁড়স ৮০ থেকে ১০০, পটল ৮০ থেকে ৯০, কাঁকরোল ৬০, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০, গাজর ১২০ থেকে ১৪০, শসা ৭০-৮০, বরবটি ১০০ থেকে ১২০, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। শীতের আগাম সবজি বাজারে এলেও দাম রীতিমতো আকাশছোঁয়া। এর মধ্যে শিম ২০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা শহরের কিচেন মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী রঞ্জিত কুমার রায় বলেন, পাইকারি বাজারে সরবরাহ না থাকায় প্রকারভেদে কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা পোয়া হিসেবে কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি করছি।

জানতে চাইলে তিনি জানান, টানা বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন জেলার মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে, ফলে সরবরাহ কমে গেছে। এ ছাড়াও মরিচ পচনশীল হওয়ায় ঘাটতিও প্রচুর হয়। তাই বেশি দামে বিক্রি না করলে পোষায় না।

একই মার্কেটের মরিচ ও পেঁয়াজের খুচরা ব্যবসায়ী নুর ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় এর দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তবে অত বেশি নয়। ওই মরিচই ৪০ টাকা পোয়া হিসেবে কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি করছি। তারপরও কিছুটা লাভ থাকবে।

সেখানে ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, সবজির তেমন ঘাটতি নেই, কিন্তু ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। একই বাজারে (কিচেন মার্কেট) একই মরিচ দুইভাবে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। একজন বিক্রি করছে ১৬০ টাকায়, আরেকজন ২৪০ টাকায়।

কাঁচা মরিচের কেজিতে বেড়েছে ১৬০ টাকা, নাগালের বাইরে সবজির দাম

তিনি বলেন, চার কেজি চালের দামে এক কেজি মরিচ। এসব অনিয়ম বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাদের দেখিয়ে দিলেও আমলে নেয় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করলার কেজি ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০টাকা, শিম ২২০ টাকা, কচুর লতির আঁটি ৪০ টাকা। এখন সবজি কিনতেও হাঁপাতে হচ্ছে।

সবমিলিয়ে নীলফামারীর খুচরা বাজারে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। ভোক্তারা বলছেন, জেলা পর্যায়ে কঠোর নজরদারি না বাড়ালে সামনে আরও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা কৃষিজাত পণ্য বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা এ টি এম এরশাদ আলম খান বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় মনিটরিং চলছে। দুয়েক দিনের মধ্যে কিচেন মার্কেটে অভিযান চালানো হবে। মরিচ নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজার পরিস্থিতি অস্থির করে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

Source link

Related posts

৫ দিনে কূলকিনারা হয়নি রজনীগন্ধার, ৪ ট্রাক উদ্ধার

News Desk

বিআরটিএ’র সেবা আজ থেকে সীমিত পরিসরে চালু হবে

News Desk

ছেলেকে রক্ষা করতে এসে প্রাণ গেলো বাবারও

News Desk

Leave a Comment