Image default
বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভেসে আসছে সুন্দরবনের মৃত হরিণ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বুধবার বিকেলে সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে একটি মৃত হরিণ। স্থানীয় রাজেশ্বর গ্রামের জেলেরা হরিণটি নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে বেড়িবাঁধের ওপর তোলেন। এর আগে বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে কোস্টগার্ড অফিসের সামনে ভেসে আসে একটি মৃত হরিণ। বনের কচিখালী অভয়ারণ্য এলাকা থেকে বিকেলে আরও একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করে বন বিভাগ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী সুন্দরবনের দুবলা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, টিয়ারচর, শ্যালার চর, কটকা, কচিখালী, সুপতিসহ এলাকার বনভূমি প্লাবিত হয়। ৫-৭ ফুট উচ্চতায় পানির ঢেউ বনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত তিনটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। বন বিভাগের ধারণা, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে জোয়ারের পানিতে ডুবেই হরিণগুলো মারা গেছে। পরে জোয়ারের পানিতে ভেসে এগুলো আসে। উদ্ধার হওয়া তিনটি হরিণই নারী। এদের মধ্যে বলেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হরিণটির পেটে বাচ্চা রয়েছে। এই হরিণকে বুধবার সন্ধ্যায় শরণখোলা রেঞ্জ অফিস চত্বরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবনের হরিণ সাধারণভাবেই একটু চঞ্চল প্রকৃতির হয়। এরা সাঁতার দিয়ে বড় নদীও পার হয়ে যেতে পারে। বনের মাঝে এটি হরিণের স্বাভাবিক বিষয়। তবে উঁচু জোয়ার ও বাতাসের মাঝে আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে ছোটার সময় পানির তোড়ে হয়তো হরিণগুলো ভেসে গিয়ে থাকতে পারে। নদীতে পড়ে গিয়ে স্রোতের কারণে আর উঠতে না পারায় হয়তো মৃত্যু হয়েছে। পানির কারণে আরও বন্য প্রাণী মারা যেতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বন অফিসের বনরক্ষীদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।

Related posts

গাড়ি চালককে কুপিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

News Desk

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে ২৩ মে

News Desk

ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ভোলা, ১০০ কোটির বেশি ক্ষয়ক্ষতি

News Desk

Leave a Comment