Image default
বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবমুক্ত সাতক্ষীরা উপকূল

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হেনেছে ভারতের ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে। তবে এর প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলে উত্তাল ছিল নদী। কোথাও বাঁধ ভেঙে আবার কোথাও বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাঁধ মেরামতের জন্য কাজ শুরু করেছেন।

বুধবার (২৬ মে) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মূল প্রভাব পড়তে শুরু করে সাতক্ষীরা উপকূলে। জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডব চলেছে টানা তিন ঘণ্টা। আম্ফানের থেকেও ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল বেশি। বিকেল ৩টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কেটেছে সাতক্ষীরা উপকূলে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সময় জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল ৩ ফুট উচ্চতার। আর ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হয়েছে সাড়ে ৪ ফুট উচ্চতার। যা আম্ফানের থেকে দেড় ফুট বেশি। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের একটি পয়েন্টের ২০ হাত বাঁধ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। ভাঙনকবলিত স্থান মেরামত করতে কাজ শুরু হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী বলেন, প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাওনিয়া, হরিশখালি, শুভদ্রাকাটি, চাকলা এই চারটি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে গেছে। লোকালয়ে পানি ঢুকছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান জানান, আশাশুনি উপজেলায় তিনটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে বলে জেনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবমুক্ত হয়েছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে এখন আর ভয়ের কিছু নেই।

Related posts

রাজধানীতে লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

News Desk

সুনামগঞ্জে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু বাড়িঘরে হামলা, ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে

News Desk

৫০ বছরেও সংরক্ষণ হয়নি বধ্যভূমি, নদীতে বিলীনের শঙ্কা

News Desk

Leave a Comment