মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের ডাকাত ও জলদস্যুদের আস্তানায় যৌথ অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে যোগ দিয়েছে র্যাব, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকালে মেঘনা নদীর তীরবর্তী ওই দুর্গম চর এলাকায় অভিযান শুরু করে র্যাব, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এখন পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত সোমবার বিকাল ৫টার দিকে ৫/৬টি দ্রুতগতির ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে সদ্য স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পসংলগ্ন মেঘনা নদীতে অস্ত্রের মহড়া শুরু করে নৌ-ডাকাত নয়ন, পিয়াস ও রিপনের পক্ষের ৩০–৪০ জন সদস্য। এ সময় ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ডাকাত দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে নদীতে অভিযানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। পুলিশের প্রস্তুতির বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে ডাকাত দলের সদস্যরা চাঁদপুরের বেলতলীর দিকে গিয়ে আড়াল হয়ে যায়।
সোয়া ৫টার দিকে মাথায় হেলমেট পরে আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি, ককটেল নিয়ে ক্যাম্পের দিকে ছুটে আসে ডাকাত দল। ক্যাম্পে থাকা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঘটায় ককটেল বিস্ফোরণ। এরপর গুলি ছুড়তে থাকে ডাকাত দলের সদস্যরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টার সময় ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। একপর্যায়ে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ট্রলার নিয়ে মতলবের দিকে চলে যায় হামলাকারীরা। ঘটনায় পুলিশ অন্তত ২৪ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। ডাকাতদল গুলিবর্ষণ করেছে শতাধিক রাউন্ড।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকাটিতে নৌ-ডাকাত ও জলদস্যুরা বেপরোয়া। এ কারণে সম্প্রতি গুয়াগাছিয়া এলাকায় একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হতে সোমবার পুলিশ ক্যাম্প টার্গেট করে গুলি বর্ষণ করে ডাকাতদল। তাদের নির্মূল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ অব্যাহত রেখেছে।