সালমানের ‘সিকান্দার’ সিনেমা ব্যর্থ হওয়ার দায় নিলেন পরিচালক
বিনোদন

সালমানের ‘সিকান্দার’ সিনেমা ব্যর্থ হওয়ার দায় নিলেন পরিচালক

পরিচালক মুরুগাদোস জানান, গল্পটি ঠিকঠাকভাবে ফুটিয়ে তুলতে না পারার কারণেই সিকান্দার ব্যর্থ হয়েছে। সিনেমাটি তিনি যেভাবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন, সেভাবে পারেননি।

দুই বছর বিরতির পর গত ৩০ মার্চ মুক্তি পায় সালমান খানের নতুন সিনেমা। ‘সিকান্দার’ নামের সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশা ছিল অনেক। তবে বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি। সিকান্দারের এই ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধেই নিলেন পরিচালক এ আর মুরুগাদোস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নির্মাতা জানিয়েছেন, সিনেমাটি তিনি যেভাবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন, সেভাবে পারেননি।

ভালাইপেচু ভয়েস নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরুগাদোস জানান, গল্পটি ঠিকঠাকভাবে ফুটিয়ে তুলতে না পারার কারণেই সিকান্দার ব্যর্থ হয়েছে। ‘গজনি’খ্যাত এই পরিচালক বলেন, ‘সিকান্দারের গল্পটা খুবই ইমোশনাল ছিল। এক রাজার গল্প, যে তার স্ত্রীকে ঠিকঠাক বুঝতে পারে না। আমরা সবাই কমবেশি এ রকম, আমরা প্রায়ই সম্পর্কগুলোকে মূল্য দিতে পারি না। যখন কেউ ছেড়ে চলে যায়, তখনই বুঝতে পারি তার গুরুত্ব।’

মুরুগাদোস বলেন, ‘সিকান্দার সিনেমায় রাজার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তার তিনটি অঙ্গ তিনজন ভিন্ন মানুষকে দান করা হয়। পরে রাজা সেই তিনজন মানুষকে খুঁজে বের করে। জীবদ্দশায় স্ত্রীর খেয়াল রাখতে পারেনি সে। অপরাধবোধের জায়গা থেকে সেই তিনজন মানুষের বিপদ আপদে পাশে দাঁড়ায়। এভাবে পুরো গ্রামের লোকদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তৈরি হয়। গল্পটা খুবই ইমোশনাল, কিন্তু আমরা ঠিকমতো ফুটিয়ে তুলতে পারিনি।’

‘সিকান্দার’ সিনেমার দৃশ্যে রাশমিকা মান্দানা ও সালমান খান। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে সিকান্দার সিনেমা ব্যর্থ হওয়ার কারণ হিসেবে পাইরেসিকে দুষেছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ড সন এন্টারটেইনমেন্ট। মুক্তির আগেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে সিকান্দারের পাইরেটেড কপি। গত জুনে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছিল, সিকান্দার পাইরেসির শিকার হওয়ার কারণে ৯১ কোটি লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের।

সিকান্দারের আগে ২০০৮ সালে আমির খানকে নিয়ে হিন্দিতে ‘গজনি’ বানিয়ে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলেন এ আর মুরুগাদোস। ৫২ কোটির সিনেমাটি প্রায় ১৯৫ কোটি রুপি ব্যবসা করে। গজনি সাফল্য পেলেও সিকান্দার কেন ব্যর্থ হলো? এ বিষয়ে নির্মাতা বলেন, ‘গজনিতে সফল হয়েছিলাম, তার কারণ, ওটা ছিল রিমেক। এর আগে সিনেমাটি আমি তামিল ভাষায় করেছিলাম। ফলে গল্পের ওপর আগে থেকেই দখল ছিল। কিন্তু সিকান্দারের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। আমি বলছি না, আমি আর হিন্দি সিনেমায় ফিরব না। যদি আমার কমফোর্ট জোন খুঁজে পাই, তবে অবশ্যই ফিরব। যখন দর্শককে আমার চিন্তার সঙ্গে একাত্ম করতে না পারলে খুব কষ্ট লাগে।’

আমির খান ও সালমান খানের সঙ্গে পরিচালক এ আর মুরুগাদোস। ছবি: সংগৃহীতআমির খান ও সালমান খানের সঙ্গে পরিচালক এ আর মুরুগাদোস। ছবি: সংগৃহীত

এ আর মুরুগাদোস মূলত তামিল চিত্রনাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজক। ‘গজনি’, ‘স্ট্যালিন’, ‘থুপাক্কি’, ‘স্পাইডার’সহ অনেক আলোচিত সিনেমার এই নির্মাতা হিন্দিতে তাঁর তিনটি সিনেমার রিমেক বানিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। তবে সিকান্দার বানিয়ে ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিতে হয়েছে তাঁকে।

Source link

Related posts

অ্যালকোহলের নেশা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল: রজনীকান্ত

News Desk

বিটিভিতে ফিরেছে যাত্রাপালা

News Desk

অবশেষে উইল স্মিথের হাতে অস্কার

News Desk

Leave a Comment