Image default
বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে ‘মানবিক বউ’সহ চিকিৎসক ধরা

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে কর্মরত সার্জারি বিশেষজ্ঞ। স্ত্রী থাকার পরেও পরকীয়ার মাধ্যমে অন্য আরেক কিশোরীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রাত কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু কতোদিন আর করবেন চুরি। অবশেষে সেই কিশোরীর সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে আটকা পড়লেন তিনি। রবিবার রাতে সেই কিশোরীর বাসায় গিয়ে স্থানীয়দের কাছে আটকে যান ওই চিকিৎসক।

সোমবার এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। তবে আটকের পর চিকিৎসক সুমন ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন। আটক চিকিৎসক জিল্লুর রহমান সুমনের বাসা ঠাকুরগাঁও শহরের পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকায় ও সেই কিশোরী ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার বেগুনগাঁও ৬ নং ইউনিয়নের বাসিন্দা।

ভিডিওটিতে সেই কিশোরী (২১) বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসক সুমনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। স্ত্রীর পরিচয় গোপন রেখে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করেন এই চিকিৎসক। এরপর স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলসহ ভাড়া বাড়িতেও থেকেছেন তারা। কিন্তু সে আমাকে বিয়ে সহজে করতে চায় না। শুধু একের পর এক তারিখ বলেই যায়। অবশেষে জানতে পাড়ি সুমনের একজন বউ রয়েছে। সে আমার সবকিছু নিয়ে নিলো, এখন শুনছি- তার বউ আছে। আমি তাকে বিয়ে করব। কারণ সে আমার সব নিয়ে নিছে।

ভিডিওতে চিকিৎসক সুমন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি বিয়ে করতে রাজি রয়েছি। তবে এর আগে এফিডেবিট করা হয়েছিল।

চিকিৎসক জিল্লুর রহমানের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার জানান, চিকিৎসককে মেয়েসহ আটকের কথা বলা হচ্ছে- তা শুনেছি। তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আমাদের কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

Related posts

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো প্রকৌশলীর

News Desk

গুলিবিদ্ধ শ্রমিকদের চিকিৎসা-ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি

News Desk

যুবলীগকর্মী হত্যা, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা 

News Desk

Leave a Comment