কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চলন্ত মোটরসাইকেলের চাকা থেকে কাদা ছিটে পড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন ইউনিয়নের গৌরারগোপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে গৌরারগোপ গ্রামের তাজুল ইসলাম (২৫) বাড়ি থেকে গাবতলী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন একই গ্রামের মাসুদ মিয়া নামে এক যুবক। হঠাৎ মোটরসাইকেলের চাকায় কাদা ছিটকে পড়ে তাজুলের শরীরে। এ ঘটনায় তাজুল মোটরসাইকেল ধীরে চালানোর জন্য মাসুদকে অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদ তাজুলকে মারধর করেন। এই ঘটনায় দ্রুতই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
দুই পক্ষের লোকজন বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। রবিবার দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করার পর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। তবে নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
করিমগঞ্জ থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ জানান, কাদা ছিটে পড়ার মতো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন, তবে পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনও থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।