চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানায় চলছে ব্যাপক কর্মব্যস্ততা
বাংলাদেশ

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানায় চলছে ব্যাপক কর্মব্যস্ততা

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানায় চলছে ব্যাপক কর্মব্যস্ততা। সংস্কারের মাধ্যমে ১০০টি কোচ (বগি) প্রস্তুতের লক্ষ্যে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কারখানার শ্রমিক ও কারিগররা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অধীনস্থ পাহাড়তলী কারখানাটিতে গিয়ে দেখা গেছে, কারখানার দৃশ্য এখন যেন যুদ্ধক্ষেত্র। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত সংখ্যক বগি প্রস্তুতের চাপ রয়েছে সব শ্রমিকের ওপরেই। কারখানাটিতে অন্যান্য শ্রমিকের মতো কাজ করছেন নজিবুর রহমান চৌধুরী (৬৫) নামে এক শ্রমিক। গত বছরের ১ নভেম্বর চাকরি থেকে অবসর নেন। অবসরের পর অভিজ্ঞতার মূল্যায়নে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে তাকে কাজে রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

নজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এই কারখানায় আমার জীবন কেটেছে। এখনও কাজ করতে ভালো লাগে। ঈদের সময় কাজও অনেক বেশি। সবাই মিলে কাজ করছি কোচগুলো রেডি করার জন্য। যাতে ঈদে লোকজন স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যেতে পারেন।’

রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঞা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ট্রেন চলাচলের বাড়তি চাহিদা মেটাতে পূর্বাঞ্চল রেলের বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য বাড়তি কোচ প্রয়োজন। এবার ১০০ কোচ মেরামতের পর সরবরাহ করার টার্গেট নিয়েছি। ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি কোচ ঈদযাত্রা শুরুর আগেই সরবরাহ সম্পন্ন হবে। এজন্যই মূলত কারখানায় জোরেশোরে চলছে সংস্কারকাজ। মূলত পরিত্যক্ত, পুরাতন বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলা সংস্কার করে আবার ট্রেনে চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।’

আগামী ৩১ মে থেকে শুরু হচ্ছে রেলওয়েতে ঈদুল আজহায় ঘরমুখো যাত্রী পরিবহন। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকিট বিক্রিও। অনলাইনে মিলছে এসব ট্রেনের টিকিট। যে কারণে ঈদুল আজহায় ঘরমুখো যাত্রীদের ট্রেনের টিকিটের জন্য আগের দিন রাত জেগে কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। অনলাইনে সহজে মিলছে ট্রেনের টিকিট। ঈদুল আজহায় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে অধিকাংশ ট্রেনে লাগবে বাড়তি বগি। এজন্য ট্রেনের বগি (কোচ) মেরামতে নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা।

ঈদের আগে আন্তনগর ট্রেনের ৩১ মে তারিখের টিকিট বিক্রি হয় ২১ মে; ১ জুনের টিকিট বিক্রি হয় ২২ মে; ২ জুনের টিকিট বিক্রি হয় ২৩ মে; ৩ জুনের টিকিট বিক্রি ২৪ মে; ৪ জুনের টিকিট বিক্রি ২৫ মে; ৫ জুনের টিকিট বিক্রি ২৬ মে এবং ৬ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ২৭ মে।

ঈদের পরে ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩০ মে। ওই দিন ৯ জুনের অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ১০ জুনের টিকিট ৩১ মে, ১১ জুনের টিকিট ১ জুন, ১২ জুনের টিকিট ২ জুন, ১৩ জুনের টিকিট ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন এবং ১৫ জুনের অগ্রিম টিকিট ৫ জুন পাওয়া যাবে।

রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে। যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা শুধু লগইন করেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

Source link

Related posts

রামেক করোনা ইউনিটে আরও ১০ মৃত্যু

News Desk

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে ঠাকুরগাঁও-যশোরে বিক্ষোভ মিছিল

News Desk

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ভাঙা ভাস্কর্য সংস্কার করলেন শিল্পীরা

News Desk

Leave a Comment