Image default
বাংলাদেশ

এক ডোজের বঙ্গভ্যাক্স টিকায় সুরক্ষার দাবি গ্লোব বায়োটেকের

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কৃত এক ডোজের এমআরএনএ টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’র গবেষণাপত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ‘ভ্যাকসিন’ এ প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গভ্যাক্স হলো এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি বিশ্বের প্রথম এক ডোজের কার্যকরী টিকা, যা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সফলভাবে মানবকোষ এবং প্রাণীদেহে সুদৃঢ় সুরক্ষা দেখিয়েছে। বিশ্বের বিখ্যাত টিকা আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশিয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড নিজস্ব প্রযুক্তিতে এ টিকা তৈরি করেছে এবং বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত করেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কাজ করার সহজাত সীমাবদ্ধতাগুলো যেমন- কাঁচামালের ব্যবস্থাকরণ, নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে অভিযোজন, গবেষণা তহবিলের অভাব ইত্যাদি সত্ত্বেও ড.কাকন নাগ এবং ড. নাজনীন সুলতানার নেতৃত্বে তরুণ বিজ্ঞানিদের একটি চৌকস দল এ টিকা আবিষ্কার করেছে। এটির অনন্য নকশা, প্রযুক্তি ও ফর্মুলেশন প্রাণীদেহে কার্যকর ফার্মাকোলোজিক্যাল প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রি-ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, এ টিকা মানবকোষ এবং প্রাণীদেহে সহনশীল ও নিরাপদ। টিকাদান পরবর্তী ৭ম দিনে নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরির প্রমাণ মিলেছে, যা ১৪তম দিনে কাঙ্খিত মাত্রায় পাওয়া গেছে। টিকাদান পরবর্তী ৯১ দিন পর্যন্ত মেমরি কোষগুলো পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাওয়া গেছে, যা নির্দেশ করে, এই ভ্যাকসিনটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

গ্লোব বায়োটেক আরও দাবি করেছে, অন্যান্য এমআরএনএ ভ্যাকসিনের তুলনায় এ ভ্যাকসিনটি বাজারে এলে সুলভ হবে। তাই স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য সহজেই ক্রয়যোগ্য হবে। এর মাধ্যমে এই দেশগুলোর প্রায় ৫শ কোটি মানুষের এমআরএনএ ভ্যাকসিন (বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর টিকা প্রযুক্তি) পাওয়ার সুযোগ হবে। যেহেতু এটি এক ডোজের টিকা, তাই অন্যান্য টিকার তুলনায় এটি কেনার ব্যয় এবং প্রয়োগ সময় সাশ্রয়ী।

প্রসঙ্গত, প্রথমে টিকার টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকুয়েন্স গত বছরের ২৯ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই (NCBI) ডেটাবেসে এবং গবেষণা নিবন্ধটি ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বায়ো-আর্কাইভ (bioRxiv) এ প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত বছরের ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেক কর্তৃক আবিষ্কৃত এমআরএনএ ভ্যাকিনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। গত ডিসেম্বরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল বঙ্গভ্যাক্সের গবেষণাগার পরিদর্শন করে সব তথ্য উপাত্ত ও প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নথিপত্র পর্যালোচনা করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অগ্রগতিতে সহযোগিতা করেন।

Related posts

উদযাপন যেন সংক্রমণ বাড়ার উপলক্ষ না হয়, আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

News Desk

দুই মাস পেরোলেও হয়নি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, নেই গ্রেফতার

News Desk

যাত্রী হয়রানি বন্ধে দালালমুক্ত করা হলো বেনাপোল চেকপোস্ট

News Desk

Leave a Comment