পাহাড়ে ব্যক্তিমালিকানায় চা-বাগান, চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হচ্ছে কর্মসংস্থান
বাংলাদেশ

পাহাড়ে ব্যক্তিমালিকানায় চা-বাগান, চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হচ্ছে কর্মসংস্থান

খাগড়াছড়ির সীমান্ত এলাকা দক্ষিণ আচালং। আর্থিক সংকট, কর্মসংস্থান সংকট, যোগাযোগ দুর্গমতা ও স্থানীয় চাহিদার কথা চিন্তা করে চা চাষের পরিকল্পনা করেন আলী হোসেন নামে এক কৃষক। তার চিন্তাকে সফল করতে ২০১৬ সালে একটি পাহাড়ে শুরু করেন চা চাষ। পর্যায়ক্রমে এখন চার পাহাড়ে বিস্তার করেছে তার চা-বাগান। স্বপ্নজয়ের পথেই এখন আলী হোসেন।

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দক্ষিণ আচালং। জেলা শহর হতে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে এটির অবস্থান। এই গ্রামের মৃত আলী আক্কাসের ছেলে আলী হোসেন সীমান্তবর্তী এলাকায় ৪ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন ব্যক্তিমালিকানাধীন চা-বাগান। তার পুরো ৩০ বিঘা জমিতে ক্রমান্বয়ে চা-বাগান করার স্বপ্ন আছে।

স্থানীয়দের কর্মসংস্থান ও চায়ের চাহিদা পূরণ করছে এই চা-বাগান। সকল খরচ মিটিয়ে মাসে গড়ে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করেন তিনি। স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের যেমন সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি চায়ের চাহিদা মেটাচ্ছে এই বাগান।

দক্ষিণ আচালং গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু তাহের জানান, অনেক পরিশ্রম করে এই চা-বাগান গড়ে তোলেন আলী হোসেন। তার এই চা-বাগানে কাজ করেন অনেক নারী-পুরুষ। বলা যায়, এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে তার এই চা-বাগানের মাধ্যমে।

লাকি আক্তার নামের আরেক স্থানীয় বলেন, এই চা-বাগানের পাতাই আশপাশের সকল দোকান এবং ঘরে পাওয়া যাবে। স্থানীয়দের চায়ের চাহিদা মেটাচ্ছে এই বাগান।

নুরুন্নবী বিপ্লব নামের আরেকজন জানান, তিনি সপরিবারে খাগড়াছড়ি থেকে এই সীমান্তবর্তী চা-বাগান দেখতে এসেছেন। খুব ভালো লেগেছে। তিনি ভ্রমণপিপাসুদের এই বাগান দেখার আমন্ত্রণ জানান।

চা-চাষি আলী হোসেন বলেন, ‘যেহেতু এই এলাকায় পাহাড়ি জমিই বেশি তাই চা-বাগান করেছি। অন্য ফসলের মতো চা-বাগান নষ্ট হয় না। এটি লাভজনক ফসল। চা-গাছে প্রথম ৪-৫ বছর পানি সেচসহ ভালো যত্ন নিতে হয়। এ গাছ কমপক্ষে ১০০ বছর বাঁচে। আর বাণিজ্যিকভাবে চা পাওয়া যায় ৭০-৮০ বছর।’

জেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘খাগড়াছড়ির পাহাড় চা চাষের উপযোগী। আবহাওয়াও ভালো। এটি কাজে লাগিয়ে আলী হোসেন যেভাবে চা-বাগান গড়ে তুলেছেন—ঠিক একইভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আরও বড় পরিসরে গড়ে উঠতে পারে। তাহলে চা উৎপাদন, চাহিদাপূরণ ও রফতানির মাধ্যমে ভালো আয় হতে পারে।’

Source link

Related posts

মোহাম্মদপুর থাকে কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্য আটক

News Desk

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরলে মানতে হবে নতুন নিয়ম

News Desk

মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছুটি হলেও প্রাথমিক খোলা, বিভ্রান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

News Desk

Leave a Comment