পুলিশের হামলায় খেপেছেন আন্দোলনকারীরা, বৃষ্টিতেও ছাড়েননি সড়ক
বাংলাদেশ

পুলিশের হামলায় খেপেছেন আন্দোলনকারীরা, বৃষ্টিতেও ছাড়েননি সড়ক

১৫ মিনিট ধরে ঝুম বৃষ্টি হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি অংশ ছাড়েননি কোটা আন্দোলনকারীর। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টায় কোটবাড়ি এলাকায় পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে এই মহাসড়কে অবস্থান নেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। 

এর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আনসার ক্যাম্প এলাকায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দিলে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষ স্থায়ী হয় ঘণ্টাখানেক। আহত হন শিক্ষার্থী, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন।

জানা গেছে, আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে পাঠিয়ে ফের মহাসড়কে উদ্দেশে যাত্রারা করেন সহস্র শিক্ষার্থী। এতে মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দিতে আসা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে অবস্থানের ঘণ্টাখানেক পর নামে বৃষ্টি। তখন সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সড়ক ছেড়ে পাশে চলে গেলেও শিক্ষার্থীরা সড়কেই থেকে যান আন্দোলনকারীরা। বৃষ্টিতেই স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন কোটবাড়ি এলাকা। বৃষ্টি থেমে গেলে গাছের গুড়ি ও টায়ারে আগুন দিয়ে শিক্ষার্থীরা সড়কে মিছিলে মুখরিত করে রাখেন। গান ও আবৃতিও করছেন তারা।

এদিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খবর নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার হওয়াতে গাড়ির চাপ অন্যদিনের তুলনায় বেশি। যে কারণে কোটবাড়ি থেকে মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে পদুয়ার বাজার ছাড়িয়েছে যানজট।

পুলিশের হামলায় খেপেছেন আন্দোলনকারীরা, বৃষ্টিতেও ছাড়েননি সড়ক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, আমরা চেয়েছি শান্তিপূর্ণ অবস্থান। পুলিশ আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। পুলিশ আমাদের শান্তভাবে বোঝাতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি। আমরা যখন সামনে আগাতে চাইলাম তারা আমাদের ভাইদের ওপর হামলা করেছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। তাদের কী অপরাধ ছিল?

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বলতে পারতো আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিতাম। কিন্তু তারা আমাদের ভাইদের ওপর হামলা করে আমাদের খেপিয়েছে। আমরা একটি যৌক্তিক আন্দোলনে আছি। আমরা কোটা চাই না। যে কোটার জন্য আমার ভাইদের ওপর হামলা হলো সেই কোটা বহাল হলে আমাদের ওপর জুলুম করা হবে। এই হামলার বিচার না হলে ছাত্ররা আর কোনও যৌক্তিক দাবি তুলতে পারবে না। তারা মনোবল হারাবে।

Source link

Related posts

গাইবান্ধায় হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের পথসভা

News Desk

পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো

News Desk

শিক্ষক বাবার ৫ সন্তানই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

News Desk

Leave a Comment