Image default
অন্যান্য

বৃষ্টিতে কি একটু সহজ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের কাজটা?

সিনেমার বড় পর্দায় ‘বিরতি’ শব্দটা মনে আছে? অ্যাডিলেড ওভালে আজ ‘পদ্মা–গঙ্গা’ সিনেমায় সেই বিরতির নাম ছিল ‘বৃষ্টি’!

পদ্মা–গঙ্গা নামের বদলে বাংলাদেশ–ভারত বসিয়ে নিন। তাহলেই বুঝে ফেলবেন ‘সিনেমা’র নাম—সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচ। আর এই সিনেমার গল্প? কেউ বলবেন, বৃষ্টির আগে ছিল সুখস্বপ্ন, আর বৃষ্টির পর? মর্মান্তিকও বলতে পারেন কেউ কেউ। কিন্তু আসলেও কি তাই?

অ্যাডিলেড ওভালে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়েছে ৭ ওভার শেষে, যখন বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে ফেলেছে। লক্ষ্য ১৮৫। উইকেটে ২৬ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত লিটন দাস, অন্য প্রান্তে ১৬ বলে ৭ রানে দাঁড়িয়ে নাজমুল হোসেন।

আর বৃষ্টি থামার পর যখন খেলা শুরু হলো? ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়মে বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য ১৬ ওভারে ১৫১ রান। বৃষ্টির আগে যেহেতু ৭ ওভারের খেলা হয়ে গেছে, তাই বাকি ৯ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেল বাংলাদেশ।

৬৬ রান যেহেতু আগেই উঠে গেছে, নতুন লক্ষ্য অনুযায়ী এই ৯ ওভারে ৮৫ রান করতে হতো সাকিবদের। তখনো হাতে ১০ উইকেট। অর্থাৎ ওভারপ্রতি গড়ে ৯.৪৪ রান করে করতে হতো বাংলাদেশকে। এখন প্রশ্ন হলো, কোনটি বেশি কঠিন ছিল? ওভারপ্রতি গড়ে ৯.১৫ নাকি ৯.৪৪?

ভেবে দেখুন, দুই ওপেনার তখন ক্রিজে, পাওয়ার–প্লে ব্যবহার করে তাঁরা ওভারপ্রতি গড়ে ৯.৪৪ করে রানও তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু পাওয়ার–প্লে শেষে রোহিত শর্মা ফিল্ডারদের সীমানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছিলেন। তাতে বাউন্ডারি যেমন কমত, তেমনি রানের গতিও কমে আসত। অস্বাভাবিক কিছু না ঘটলে ক্রিকেটে এটাই স্বাভাবিক।

Related posts

Messi needs Barcelona stay however FFP is holding up agreement expansion, claims president Laporta

News Desk

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে জেট ফুয়েল না দেওয়ার আহ্বান অ্যামনেস্টির

News Desk

সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট

News Desk

Leave a Comment