Image default
খেলা

হাসান মাহমুদকে নিয়ে কী ভাবছে বিসিবি

২০২০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে নেমে বাজিমাত করেন হাসান মাহমুদ। ঢাকা প্লাটুনের জার্সিতে নিজের জাত চিনিয়ে ১৩ ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেও গতিময় বোলিংয়ের সাথে লাইন-লেংথে আলো কাড়েন এই তরুণ পেসার। এরপর ডাক পান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে। অমিত সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হলেও চোটের কারণে সুবিধা করতে পারছেন না হাসান মাহমুদ।

বর্তমানে ফ্যাসিট জয়েন্ট ইনজুরিতে ভুগছেন। তবে দফায় দফায় স্ক্যান করিয়েও কোনো সমস্যা ধরতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এজন্য সফট টিস্যু ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়ায় এগিয়েছে বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ। বর্তমানে রিহ্যাব চলছে এই পেসারের। এমনই তথ্য দিলেন বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগের প্রধান দেবাশিষ চৌধুরী।

এ প্রসঙ্গে দেবাশিষ বলেন, ‘হাসান মাহমুদের স্ক্যান রিপোর্ট ভালো। স্ক্যানে কিছু পাওয়া যায়নি। তার মানে যেটি প্রমাণ হয়, ওর মেজর কোন সমস্যা নাই। মেজর বলতে অপারেশনের মতো বড় কিছু লাগবে না। আমরা সফট টিস্যু ম্যানেজমেন্ট করছি। এটির রিহ্যাব প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের জাতীয় দলের ফিজিও যিনি আছেন তার পরামর্শে মেনে চলছে এখন। সঙ্গে আমাদের স্থানীয় যে ফিজিওরা আছেন, ওনারাও দেখছেন।’

বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্যাপ মাথায় না তুললেও বাকি দুই ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছে হাসানের। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভাবনায় তাকে রাখার কথা জানিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলা হচ্ছে না তার। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা হলেও টুর্নামেন্টের বাইরে হাসান। যেহেতু বড় কোনো সমস্যা নয়, সেহেতু পূর্বে সাউফউদ্দিন, তাসকিনদের যেভাবে ব্যথা মুক্ত ইনজেকশন দিয়ে খেলানো হয়েছে, সেই প্রক্রিয়া কি প্রয়োগ করা যেত না হাসান মাহমুদের ক্ষেত্রে?

দেবাশিষ জানালেন, ‘ব্যথা মুক্তকরণ ইনজেকশন দিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত আমরা বিবেচনা করে দেখব। কিন্তু এটাতো কোনও স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। আপাতত দেশের বাইরে নেওয়ারও কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ এখন তো করোনাভাইরাসের কারণে আপনি চাইলেও বাইরে নিতে পারবেন না। যেসব দেশে আমরা সাধারণত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে থাকি, সেসব দেশে সঙ্গে এখন যাতায়াত বন্ধ।’

স্ক্যানে সমস্যা ধরা পড়ছে না। ব্যথা কিছুটা কমলেও সেরে উঠছেন না ২১ বছর বয়সী এই পেসার। এভাবে চলতে থাকলে তার মাঠে ফিরতে কতদিন সময় লাগতে পারে? নির্দিষ্ট করে বলতে পারল না মেডিক্যাল বিভাগ। দেবাশিষ জানালেন, তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে, তবে সেটিও নিশ্চিত নয়।

দেবাশিষ বলেন, ‘আমরা চার সপ্তাহের মতো একটা ধারণা করছি। আমরা আশা করছি, তবে এটি নিশ্চিত করে বলা যায় না। যেহেতু পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা সমস্যা চিহ্নিত করতে পারিনি, পরীক্ষার ফল তো সব নরমাল এসেছে। আমার চিহ্নিত করতে পারলে নিশ্চিত করে বলতে পারতাম যে এই সমস্যার জন্য এত দিন সময় লাগতে পারে। যেহেতু আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি সে তো আমরা নির্দিষ্ট কোন সময় দিতে পারছি না।’

সঙ্গে আরও যোগ করেন দেবাশিষ, ‘এজন্য আমরা সফট টিস্যুর রিহ্যাব প্রক্রিয়াটা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা রাখি আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরার একটা সম্ভাবনা আছে। তবে যেটি বললাম, এটিও নিশ্চিত নয়।’

Related posts

কলেজ অ্যাথলেটিক্স ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের মহিলাদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে

News Desk

মালদ্বীপে এক ম্যাচে সাবিনার ১১ গোল

News Desk

অন্ধকার ফুঁড়ে আলো দেখানোর প্রত্যয় সানজিদাদের

News Desk

Leave a Comment