Image default
খেলা

সাবেক ক্রিকেটার সুজন আপাতত মিডিয়ায় কথা বলবেন না

তারা দুজনই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। এখন একসঙ্গে দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করছেন। দুজনই বোর্ড পরিচালক। একজন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধান। আর আরেকজন গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান।

তার চেয়ে বড় কথা, জাতীয় দলের পাশাপাশি ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে আবাহনীতেও একসঙ্গে খেলেছেন বেশ কয়েক বছর। দুজনার মাঝে একটা অন্যরকম হৃদ্যতা, সখ্যও ছিল। কিন্তু গত ৭২ ঘন্টা আগে হঠাৎই নিজেদের মাঝে অযাচিত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন আর আকরাম খান।

জাতীয় দলের দুজন কোচিং স্টাফ নিয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুজন। লঙ্কান কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ আর দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাশওয়েল প্রিন্সকে ব্যাটিং কোচ করা নিয়ে তিনি মিডিয়ায় সরাসরি বলে বসেন, ‘আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমাকে মিটিংয়ে ডাকা হয় না।’

২৬ জুন প্রিমিয়ার লিগ শেষ হওয়ার পরের দিন শেরে বাংলায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপের এক পর্যায়ে খালেদ মাহমুদ সুজন খানিক ক্ষোভের সাথে ব্যাটিং ও স্পিন কোচ নিয়োগের ব্যাপারে বলে ওঠেন, ‘আমি হয়তো প্রিমিয়ার লিগের কারণে হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে আটকা ছিলাম। তারপরও আমাকে ফোনে বা মেইলে জানানো যেত।

প্রসঙ্গত, খালেদ মাহমুদ সুজন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। আর ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান। দুজনই বিসিবির বড় দায়িত্বে। কিন্তু সুজনের অভিযোগ, তাকে ক্রিকেট অপসের কোনো সভায় ডাকা হয় না। যেহেতু আকরাম খানই ক্রিকেট অপসের চেয়ারম্যান, তাই সুজনের অভিযোগের তীরটা তার দিকেই ছোড়া হয়। এতে করে দুই সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান বোর্ডের দুই শক্তিশালী পরিচালকের মধ্যে একটা মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। মানসিক দূরত্বও জন্মায়।

এমন পরিস্থিতিতে ওই দিনই (২৭ জুন রাতে) আকরাম খান ও খালেদ মাহমুদ সুজনকে গুলশানের নিজ বাসভবনে ডাকেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। সেখানে তিনি দুই পক্ষের কথা শোনেন। জানা গেছে, তাৎক্ষণিকভাবে আকরাম ও সুজনের মধ্যে সমঝোতাও করে দেন বিসিবি সভাপতি এবং জানিয়ে দেন, বোর্ড পরিচালকদের বিষয়ে বা বোর্ডের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বাইরে ওপেন ফোরামে কোনো কথাবার্তা না বলতে। কিছু বলার থাকলে বোর্ড সভাপতি, সিইও‘র কাছে জানাতে।

বিসিবি সভাপতির নির্দেশেই হোক কিংবা মনের ক্ষোভেই হোক, খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সহসাই আর মিডিয়ায় কথা বলবেন না। আজ বিকেলে জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোন আলাপে সুজন তা স্বীকারও করেছেন। বলেছেন, ‘আমি পাপন ভাইকে বলে দিয়েছি আর মিডিয়ায় কথা বলব না।’ তবে আকরাম খানের সাথে তার আর কোনো দ্বন্দ্ব নেই, জানিয়ে সুজন বলেন, ‘সেটা পাপন ভাই মিটিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে আকরাম খান আজ আবার মিডিয়ায় ওই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। আকরাম বলেছেন, ‘কাউকে নেতিবাচক কিছু বলা, সমালোচনা করতে চাই না। আমাদের বোর্ডে যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে সেগুলোর জন্য বোর্ডপ্রধান আছেন। উনি আমাদের বৈঠকে কিন্তু কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ দেন। সেখানে আমরা বলতে পারি। আপনি যদি মিডিয়াতে গিয়ে ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে কথা বলেন, এটা কিন্তু ক্রিকেটের জন্য ভালো না।

একই ইস্যুতে জাগো নিউজের সাথে ব্যক্তিগত আলাপে আকরাম অবশ্য সুজনের বিপক্ষে কোনো ক্ষোভ ঝাড়েননি। তিনি বলেন, ‘সুজন আমার ছোট ভাই। দীর্ঘদিনের ও অনেক নিবিড় সম্পর্ক । সে প্রকাশ্যে মিডিয়ায় না বলে যদি আমাকে বা সিইও নিজামউদ্দীন সুজনকে বলতো যে, কোচ নিয়োগের কোনো খবরই তার জানা নেই। তাহলে মানা যেতো। কিন্তু তা না করে সে সরাসরি মিডিয়ায় বলে দিয়েছে। তারপরও যেহেতু পাপন ভাইয়ের বাসায় সেদিন সে কিছুটা গিল্টি ফিল (অপরাধবোধ) করেছে ওই ঘটনায়। তাই তার প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নেই।

Related posts

আর্সেনালকে হারিয়ে শীর্ষে ম্যান সিটি

News Desk

কব্জির চোটে উইম্বলডন থেকে প্রত্যাহার নিক কিরগিওস: ‘আমি ফিরে আসব’

News Desk

নিজ ঘরে খুলনার কাছে হেরে গেলো চট্টগ্রাম

News Desk

Leave a Comment