Image default
খেলা

সহজ ম্যাচ কঠিন করে হারল সাকিবের কলকাতা

ম্যাচের নাটাই ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হাতে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের দ্রুত রান তোলার মানসিকতা বিপদ ডেকে আনে ইয়ন মরগানের দলের। শেষ ১২ বলে ১৯ রান প্রয়োজন হলে তা আর নিতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল-দীনেশ কার্তিকরা। ১০ রানে হেরে আসরের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পায় মরগানবাহিনী। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে শেষ ১২ বারের দেখায় এ নিয়ে ১১ বারই হারল কলকাতা।

মুম্বাইকে ১৫২ রানে থামিয়ে দিয়ে কলকাতার ওপেনাররা শুরুটা দারুণ করেন। শুভমান গিল এবং নিতিশ রানার ব্যাটে ৮ ওভানে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান যোগ করে কেকেআর। ৯ম ওভারে দলীয় ৭২ রানে রাহুল চাহারের বলে আউট হন গিল। ৩৩ রানে গিল ফিরলেও রাহুল ত্রিপাঠিকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রানা। তবে দলীয় ৮১ রানে এবারও আঘাত হানেন চাহার। ৫ রানে ফেরান রাহুলকে। মরগানকে সঙ্গে নিয়ে ১৩ ওভারেই দলকে ১০০ রানের পুঁজি এনে দেন রানা।

তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। কিন্তু খানিক পর আবারও আঘাত হানেন রাহুল। স্লগ সুইপে ডিপ মিড উইকেটে মার্কো ইয়ানসেনকে ৭ রানে ক্যাচ দেন মরগান। এরপর ৫৭ রানে রাহুলের স্পেলের শেষ বলে স্টাম্পিং হন রানাও। সে সময়ও ম্যাচ কলকাতার হাতে ছিল। ৩০ বলে প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। কিন্তু দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ক্রুনাল পান্ডিয়াকে ডিপ স্কোয়ারে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সুর্যকুমারের তালুবন্দি হন সাকিব। ক্রিজে নেমে দুই বার জীবন পেয়েও সুবিধা করতে পারেননি রাসেল।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৫ রান প্রয়োজন হলে ট্রেন্ট বোল্টকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। পরের বলে প্যাট কামিন্সকে বোল্ডকে মুম্বাইকে জয়ের একদম কাছে নিয়ে যান এই পেসার। শেষ পর্যন্ত আর কোন উইকেট না পরলেও পরের দুই বলে মাত্র ২ রান নিতে সক্ষম হয় কলকাতা। অপরপ্রান্তে অপরাজিত থেকে যান দীনেশ কার্তিক। ১০ রানে পরাজয়ের স্বাদ পায় কলকাতা। এই জয়ে আসরের প্রথম জয় তুলে নিল মুম্বাই।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে সূর্যকুমার যাদবের হাফ সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ১৫২ রানে অল আউট হয় মুম্বাই। কলকাতার হয়ে ২ ওভার বল করে ৫ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। ৪ ওভার বোলিং করে ২৩ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সাকিব।

Related posts

চাপের কথা স্বীকার করে নিলেন মুশফিক

News Desk

সাকিবের পরামর্শে সফল হলেন নাসুম আহমেদ

News Desk

2024 NFL খসড়াতে জেটগুলি কী করতে পারে৷

News Desk

Leave a Comment