Image default
খেলা

শুরুর চাপ সামলে বড় সংগ্রহ শ্রীলঙ্কার

চলমান এশিয়া কাপের অলিখিত রীতি হয়ে দাড়িয়ছে টস জিতলেই জেতা যাবে ম্যাচ। টস জিতে পরে ব্যাটিং করতে পারলেই দলের জয় নিশ্চিত। আজ দুবাইয়ের স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে শিরোপাযুদ্ধে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে যথারীতি ব্যাটিং করতে পাঠায় পাক অধিনায়ক বাবর আজম। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে প্রথমে ভুল প্রমাণ করেননি পাকিস্তানি বোলাররা।

তবে ভানুকা রাজাপাকসে আর হাসরাঙ্গা ডি সিল্ভা মিলে শুরুর চাপ সামলে ১৭০ রানের বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কাকে। ইনিংস শেষে ৭১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রাজাপাকসে। 

ইনিংসের প্রথম বলে ওয়াইড দিয়ে শুরু করেন পেসার নাসিম শাহ। লঙ্কানদের বিপদের শুরু তারপরেই। ম্যাচের তৃতীয় বলেই ১৪২ কি.মি. গতির দুর্দান্ত এক ইনসুইঙ্গারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে স্ট্যাম্প। লঙ্কান ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ উপহার দিয়ে সাজঘরে পাঠিয়েছেন নাসিম।



মাত্রই প্রথম ওভারের ধাক্কাটা সামলে ওঠার চেষ্টা করতেছিলো শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওভারে হাসনাইনকে দুই চার আর তৃতীয় ওভারে নাসিমকে এক চারে পাল্টা আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছিলো লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে তাদের আক্রমণে জল ঢেলে দেন হারিস রউফ। নিজের প্রথম ওভার করতে এসে দ্বিতীয় বলেই আরেক  লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান রউফ। ১১ বলে ৮ রান করা নিশাঙ্কা ফেরেন পাক অধিনায়ক বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে।২৩ রানেই ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

লঙ্কানদের হয়ে পাক বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে ওপর প্রান্তে আবারও পতন উইকেটের। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারের প্রথম বলেই ১৫১ কি.মি. বুলেট ছুড়েছিলেন হারিস রউফ। এই গতির কোনো জবাব জানা ছিলো না লঙ্কান ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকার। অফ স্ট্যাম্পের একটু বাইরে পিচ করে বুলেটের মতো ছুটে যাওয়া ওই বল ঢুকলো ভেতরের দিকে, তাকিয়ে দেখতে দেখতেই উড়ে গেছে গুনাথিলাকার অফ স্ট্যাম্প। ওভারের পঞ্চম বলে আরেকটি উইকেট পেয়ে যেতে পারতো পাকিস্তান। ভানুকা রাজাপাকসের পায়ে বল লাগলে জোরালো আবেদন করেন পাকিস্তানি বোলাররা। তবে সেই আবেদনে সাড়া দেননি বাংলাদেশের আম্পায়ার মাসুদুর রহমান। রিভিউ নিয়েছিলো পাকিস্তান, তাতে অবশ্য লাভ হয়নি।

পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪২ রান। ৪ চারে ১৫ বলে ২৪ রান নিয়ে লঙ্কানদের হয়ে একমাত্র ধনঞ্জয়া ডি সিলভাই কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাক বোলারদের সামনে। তবে এক ওভারে বাদেই থামে ধনঞ্জয়ার পাল্টা আক্রমণ। অষ্টম ওভারে ইফতিখারের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ২১ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ধনঞ্জয়া।

পরের ওভারেই লঙ্কান অধিনায়ক শানাকাকে ২ রানেই ফিরিয়ে পাকিস্তানকে উল্লাসে মাতান শাদাব খান। ৫৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হওয়া শ্রীলঙ্কাকে উদ্ধারে নামেন ভানুকা রাজাপাকসে আর হাসরাঙ্গা ডি সিলভা। ৩৬ বলে ৫৮ রানের জুটি করে দলকে লড়াই করার স্বপ্ন দেখাচ্ছইলেন দুজন মিলে। মোহাম্মদ হাসপ্নাইনের এক ওভার থেকে তুলে নিয়েছিলেন ১৪ রান। পাল্টা আক্রমনে পাকিস্তানি বোলিংকে ভালোই চোখ রাঙ্গাচ্ছিলেন দুজন। এই দুইজনের জুটিতে ভর করে ১৪ ওভারেই ১০০ তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। শেষমেশ জুটি ভাঙ্গেন হারিস রউফ। ১৫তম ওভারে রউফকে টানা দুই চার মারেন হাসরাঙ্গা। তবে ১৪৫ কি.মি. গতির ঠিক পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়াতে বাধ্য করেন হাসরাঙ্গাকে।



হাসরাঙ্গার বিদায়ে জুটি ভাঙলেও দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন রাজাপাকসে। চামিকা করুণারত্নের সঙ্গে জুটি বেঁধে নিজের অর্ধশতকও তুলে নেন রাজাপাকসে। ইনিংসের ১৮তম ওভারে চতুর্থ বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাজাপাকসে। তবে উপরে ওঠা সেই বল হাতে জমাতে পারেননি শাদাব খান। ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৩৫ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন রাজাপাকসে। 

পরের ওভারের শেষ বলেও আকাশে বল তুলেছিলেন রাজাপাকসে। তবে এবারও ব্যর্থ পাক ফিল্ডাররা। আসিফ আলি আর শাদাব খানের সংঘর্ষে সশুধু ক্যাচই পড়েনি, বল গিয়ে পড়ে সোজা বাউন্ডারির বাইরে, ছয় রান। ইনিংসের শেষ ওভারেও ১ চার আর ১ ছয়ে ১৫ রান তুলে নেয় লঙ্কানরা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৭০ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।

৬ চার আর ৩ ছয়ে ৪৫ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রাজাপাকসে। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:

শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৭০/৬ (ধনঞ্জয়া ২৮, রাজাপাকসে ৭১*, হাসরাঙ্গা ৩৬; হারিস রউফ ৪-০-২৯-৩, ইফতইখার ৩-০-২১-১)

ইত্তেফাক/এসএস

Source link

Related posts

আফিফের হাতে উঠল ম্যাচ সেরার পুরস্কার

News Desk

ফুটবল সম্রাটের ইতিহাসগড়া ক্যারিয়ার

News Desk

অভিষেকেই হ্যাটট্রিক অস্ট্রেলিয়ান পেসারের

News Desk

Leave a Comment