Image default
খেলা

রিয়াল মাদ্রিদ-লিভারপুল দ্বৈরত্বের কয়েকটি স্মরণীয় মুহূর্ত

আজ ইউরোপীয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। স্পেন ও ইংল্যান্ডের দুই পরাশক্তির লড়াই দেখতে বিশ্বব্যাপী মুখিয়ে আছে অগণিত ভক্ত। কার হাতে ২০২১-২২ সেশনে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট যাচ্ছে তা ম্যাচ শেষেই নির্ধারণ হয়ে যাবে।

রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের দ্বৈরত্ব নিয়ে ভক্তদের মাঝেও উৎসাহ-উদ্দীপনা অনেক। কারণটা দল দুটির মধ্যকার লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস। পূর্বের মুখোমুখি দেখায় বেশ কিছু স্মরণীয় মূহূর্ত উপহার দিয়েছে তারা।

দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯৮০-৮১ মৌসুমে ইউরোপীয়ান কাপ ফাইনালে। সেবার ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল লিভারপুল। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সাত বার মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। তার মধ্য থেকে কয়েকটি স্মরণীয় মূহূর্ত পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

১৯৮০-৮১, ইউরোপীয়ান কাপ ফাইনাল:

৪১ বছর পূর্বে, ১৯৮০-৮১ মৌসুমে ইউরোপীয়ান কাপ ফাইনালে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। ওই ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ের গোলে জয় পায় লিভারপুল। অ্যালান কেনেডি থ্রো-ইন করার জন্য দৌড়ে গিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের পেনাল্টি এলাকায় প্রবেশ করে এবং বল জালে পাঠিয়ে দেন। এটি ছিল রেডসদের পাঁচ মৌসুমের মধ্যে তৃতীয় ইউরোপীয়ান কাপ শিরোপা।



ম্যাচটি স্মরণীয় হওয়ার কারণ, গোলদাতা অ্যালান কেনেডি সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে নিজের কব্জি ভেঙ্গে ফেলেন। চিকিৎসকরা বলেছিল, সুস্থ হতে অন্তত ১০ সপ্তাহ সময় লাগবে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ফাইনালের আগে সুস্থ হয়ে উঠেন কেনেডি এবং লিভারপুলকে শিরোপা এনে দেন।

২০০৮-০৯, চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলো রাউন্ড:

দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলের পুরনো মাঠ অ্যানফিল্ডে খেলতে আসে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি ৪-০ গোলে জয় পায় স্বাগতিকরা। বলা হয়, অ্যানফিল্ডে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয়ান ফুটবলের অন্যতম সেরা ম্যাচ ছিল এটি। মূলত এটি স্মরণীয় হয়ে আছে সাবেক স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো টরেসের শ্বাসরুদ্ধকর ব্যক্তিগত প্রদর্শনের জন্য।


২০০৮-০৯ মৌসুমে অবিশ্বাস্য পারফর্ম প্রদর্শন করেন ফার্নান্দো টরেস। ছবি: গেট্টি ইমেজ

বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগে গোড়ালি আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন টরেস। সবাই ভেবেছিল দ্বিতীয় লেগে হয়তো খেলতে পারবেন না তিনি। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে আসেন এবং গোল করে দলকে জয় এনে দেন। হ্যাটট্টিকও করতে পারতেন। রিয়ালের তৎকালীন কিংবদন্তী গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াস দারুণ দক্ষতায় টরেসের দুটি ফিরিয়ে দেন।

২০১৪-১৫, চ্যাম্পিয়নস লিগ গ্রুপ পর্ব:

অ্যানফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ৩-০ গোলে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমেই রিয়ালকে এগিয়ে নেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর জোড়া গোল করেন করিম বেনজেমা। প্রথমার্ধের ১৮ মিনিটেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। এরপর আর খেলায় ফিরে আসতে পারেনি লিভারপুল। সেবার তারা গ্রুপ বি তে তৃতীয় হয়ে শেষ ষোলো রাউন্ডে যেতে ব্যর্থ হয়।


২০১৪ সালে করিম বেনজেমার জোড়া গোলে জয় পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: গেট্টি ইমেজ

২০১৭-১৮, চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল:

ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এটি আলোচিত হয়ে আছে প্রথমার্থে লিভারপুলের মিশরীয় স্ট্রাইকার মোহাম্মদ সালাহর ইনজুরির কারণে। রিয়াল ডিফেন্ডার সার্হিও রামোসের মারাত্মক ট্যাকলে কাঁধে চোট পেয়ে ছিটকে পড়েন সালাহ। তার কান্নায় চোখ ভিজেছিল সবার।


২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মোহাম্মদ সালাহর চোট ছাড়াও আলোচনায় ছিল গ্যারেথ বেলের বাইসাইকেল কিকে গোল। ছবি: গেট্টি ইমেজ

ওই মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৪ গোল করেছিলেন সালাহ। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে ছিল ১০ গোল। যা ১১ বছর পর রেডসদের টুর্নামেন্টটির ফাইনালে উঠাতে সহায়তা করে।

Source link

Related posts

হকিতে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোয়ার্টারে ভারত

News Desk

মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর পার্টনারশিপে বড় পুঁজির পথে বাংলাদেশ

News Desk

ভিদালের আত্মঘাতি গোলে স্বপ্ন টিকে থাকল উরুগুয়ের

News Desk

Leave a Comment