শক্তিশালী আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে আগের ম্যাচেও জয়ের সুযোগ তৈরি করেছিল ওল্ড ডিওএইচএস। জয় পেতে ১৯ ওভারে করতে হতো ১৩৬ রান। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ধীর ব্যাটিংয়ের কারণে সেদিন হারতে হয়েছিল ২২ রানের ব্যবধানে।
তবে এবার তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে কোনো ভুল করেনি ডিওএইচএসের তরুণরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পারটেক্সকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে চলতি আসরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ডিওএইচএস।
সকালের বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। যে কারণে কমিয়ে দেয়া হয় দুই দলের ইনিংসের পাঁচটি করে ওভার। অর্থাৎ ইনিংসপ্রতি ১৫ ওভারে নেমে যায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য।
যেখানে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৫ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারালেও ৭৭ রানের বেশি করতে পারেনি পারটেক্স। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়েই ম্যাচ জিতে নিয়েছে ওল্ড ডিওএইচএস।
মাত্র ৭৮ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তাড়াহুড়োর প্রয়োজন ছিল না ডিওএইচএসের। তারা সেটি চেষ্টা করেনি। দুই ওপেনার রাকিন আহমেদ ও আনিসুল ইসলামের ইমনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১১.৩ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে তারা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা দুই পরিচিত মুখ শাহাদাত হোসেন রাজীব ও জুবায়ের হোসেন লিখনদের বিরুদ্ধে সাবলীল ব্যাটিংই করেছেন ইমন-রাকিনরা। ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই দলীয় পঞ্চাশ পূরণ করেন দুজনে।
সাধারণত ধীরস্থির ব্যাটসম্যান হলেও, আজকের ম্যাচে দ্রুত রান তুলেছেন রাকিনই। অন্যদিকে আগ্রাসী ইমন আজ রান করেছেন বলপ্রতি। শেষ পর্যন্ত ৬ চারের মারে ৩৬ বলে ৪৩ রান করেন রাকিন আর ইমন অপরাজিত থাকেন ২ চার ও ১ ছয়ের মারে ৩৩ বলে ঠিক ৩৩ রান করে।
এর আগে পারটেক্সকে বেঁধে রাখার কাজটা দারুণভাবেই করেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য রাকিবুল ইসলাম। তিনি ৩ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। অন্য দুই উইকেট গেছে আব্দুল রশিদ ও মোহাম্মদ শান্তর ঝুলিতে।
পারটেক্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেছেন অধিনায়ক তাসামুল হক। এজন্য খেলেছেন ২৫টি বল। এছাড়া সমান ১৭ রান করে এসেছে আব্বাস মুসা, নাজমুল হোসেন মিলন ও ধীমান ঘোষ।
এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে উঠে গেছে ডিওএইচএস। অন্যদিকে তিন ম্যাচের সবকয়টিতে হেরে তলানিতে পড়ে রয়েছে পারটেক্স।