ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত ক্লিন শেভড লিওনেল মেসিকেই দেখেছে সবাই। ফর্সা চেহারার একজন ঝাঁকড়া কালো চুল নিয়ে উইং দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন, ড্রিবল করে মন্ত্রমুগ্ধ প্রতিপক্ষকে কাটাচ্ছেন- এটা ছিল নিয়মিত দৃশ্য। কয়েক বছর আগে হঠাৎ তিনি দাড়ি রাখতে শুরু করেন। এভাবে অনেকদিন চলছিল। আবার গত বছর থেকে তিনি দাড়ি কেটে আবার আগের মতো ক্লিন শেভড! লিওনেল মেসির এই দাড়ি রহস্য আসলে কী? ইচ্ছা করেই লুক বদলান নাকি অন্য কিছু?
মেসির ক্লিন শেভড থাকাটা আসলে স্পনসর সংক্রান্ত বিষয়ে। সেই সময় তিনি পুরুষদের প্রসাধনসামগ্রী বিক্রেতা কম্পানি ‘জিলেট’ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার ছিলেন। চুক্তির শর্ত অনুযায়ীই তখন তাকে সবসময় ক্লিন শেভড থাকতে হতো। প্রতিদিন শেভ করতে হতো। সম্প্রতি যে কারণে দাড়ি রাখা শুরু করলেন মেসি মেসি বলেন, ‘আমি দাড়ি কেন রাখি? আমি আগে জিলেটের মুখপাত্র ছিলাম। তারা আমাকে যত বেশি সম্ভব শেভ করতে বলত। ক্লিন শেভড থাকতে বলত। তাই আমি অনেক দিন ধরে ক্লিন শেভড থাকতাম।’
চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে যেন দাড়ি না রাখার বাধ্যবাধ্যকতা থেকে মুক্তি পান মেসি। এরপর নিজের লুক নিয়ে ইচ্ছেমতো পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেন। সাক্ষাতকারে মেসি আরও বলেন, ‘জিলেটের সঙ্গে চুক্তি যখন শেষ হলো, আমি ভাবলাম শেভ করা এবার বন্ধ করে দেই। আমি তখন দাড়ি রাখা শুরু করলাম। তবে দাড়ি যখন বেশি বড় হয়ে গিয়ে যন্ত্রণা দেওয়া শুরু করে তখন আমি সেগুলো আবার কেটে ফেলি।