দুদিনের বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের ভেন্যু। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে বৃষ্টি কমে এলেও শেষ পর্যন্ত মাঠ খেলার অনুপযোগী থাকায় বাতিল করতে হয়েছে ম্যাচটি। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের কাঙ্ক্ষিত লড়াইটি এভাবে বৃষ্টির পেটে যাওয়া হতাশ করেছে দর্শকদের।
একইভাবে ম্যাচ বাতিলে নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ। তবে হতাশার পাশাপাশি কিছুটা স্বস্তির কথাও জানিয়েছেন তাঁরা। এমন অপ্রস্তুত মাঠে শেষ পর্যন্ত খেলা হলে বড় ধরনের চোটের ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করছেন দুই অধিনায়ক।
বৃষ্টি ও অঘটনের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলেরই সেমিফাইনাল এখন ঝুঁকিতে। ৩ ম্যাচে দুই দলেরই পয়েন্ট এখন সমান ৩।
আজ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইটিতে যারা জিতত, তারা এগিয়ে যেতে পারত। তবে চেষ্টা করার সুযোগটাই যে মিলল না। এরপরও আম্পায়ারের ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদই জানিয়েছেন বাটলার-ফিঞ্চ।
ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার বলেন, ‘আম্পায়াররা বড় ধরনের কিছু আশঙ্কা করছিলেন, আমিও ঠিক তা-ই মনে করি। আউটফিল্ড খুবই ভেজা ছিল। ৩০ গজ বৃত্তের ভেতর কিছু জায়গা খেলার উপযোগী ছিল না।’
এই ধরনের উইকেটে খেললে বোলাররা বড় ধরনের বিপদে পড়ত জানিয়ে বাটলার আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি, বল করতে যাওয়া প্রত্যেক বোলারের মাঝে উদ্বেগ কাজ করত। খেলোয়াড়দের সুরক্ষা সত্যিই জরুরি। আমাদের বোলার হোক কিংবা অস্ট্রেলিয়ার, এটা খেলার জন্য উপযোগী ছিল না। তাই আমার মতে, সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল।’
বৃষ্টিতে কারও হাত নেই উল্লেখ করে ম্যাচ খেলতে না পারার আক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন বাটলার, ‘এখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আপনি অবশ্যই এমন ম্যাচ চাইবেন না।’
অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও কথা বলেছেন বাটলারের সুরেই। তিনি বলেছেন, ‘রান-আপের জায়গাটা বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর ভেতরের বৃত্ত নিয়েও ঝামেলা ছিল। এখানে খেলোয়াড়দের সুরক্ষার বিষয়টিই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’