Image default
খেলা

মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকায় ফিরল আবাহনী

কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মোহামেডান-আবাহনীর ম্যাচটা শেষ হওয়ার পর খেলোয়াড়রা তখনও মাঠ থেকে বেরিয়ে যায়নি। সুযোগ পেয়ে ছোট বড় নারী পুরুষ সবাই মাঠের ভেতরে ঢুকলেন। যে যার মতো করে মাঠে ঢুকে আনন্দ করলেন। আবাহনী ২-০ গোলে হারিয়েছে মোহামেডানকে।

প্রথম গোলের মালিক নাইজেরিয়ারন পিটার ওরাহ। এই ফুটবলার ভালো খেলেছেন। আক্রমণভাগে কোস্টারিকার কলিন্দ্রেস, ব্রাজিলের রাফায়েল অগাস্তো, নাইজেরিয়ান পিটার। তাদের আক্রমণ সামাল দিতে পারেনি মোহামেডানের রক্ষণ। ব্রাজিলিয়ান ওলিভার, রাজিব, আবিদ, মেহেদীরা ঠেকাতে পারেননি। পিটার বল নিয়ে  যেভাবে মোহামেডানের গোল মুখে ঢুকেছেন তা দেখে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দারুণ খুশি। তারা মাঠে ঢুকে পিটারের সঙ্গে ছবি তুলবে। পিটারও খুব ভদ্র ছেলে। সবার আবদার মেটাতে গিয়ে ভীড়ের মধ্যে পড়েছিলেন। ছুটে বেরিয়ে আসার সুযোগ ছিল না বলে আবাহনীর লোকজন এনে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল। লেফট উইংয়ে পিটার বলপ্লেয়ার। জায়গা মতো বলটা রাখতে পারেন।



মোহামেডানের বিপক্ষে খেলার ১২ মিনিটে পাওয়া গোলটা পিটারকে উজ্জীবিত করেছে। কুমিল্লায় নিজেকে দেখিয়ে গেছেন। কুমিল্লায় আবার খেলতে এলে এই পিটারকে সহজেই চিনে নেবেন খুদে সমর্থকরা। গোল হজম করা মোহামেডান লড়াইয়ে ফেরার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। আবাহনীর ওপর আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দিয়ে একের পর এক কর্নার পেলেও কাজের কাজটি করতে পারেননি তারা। ৯০ মিনিটের খেলার হিসাবটা যদি এক নজরে দেখা যায় তাহলে পুরো খেলায় আবাহনীর ২ গোল। আর মোহামেডানের দুই দুই বার গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে। নিজেরাই নষ্ট করেছেন। সাজ্জাদ এবং মানিক মোল্লা। এই দুটি সুযোগ খেলার দ্বিতীয়ার্ধে।

আবাহনীর গোল মুখে মানিক এবং সাজ্জাদের শট দেখলে মনে হবে গোল করার আগ্রহ নেই। গোলের ক্ষুধা নেই তাদের। খেলা শেষে কোচ মানিক যখন মাঠে দাঁড়িয়ে, ড্রেসিং রুমের দিকে যাচ্ছিলেন না। ড্রেসিং রুমের গেটে কিছু উচ্ছৃঙ্খল সর্মথক সমালোচনা করছিলেন, মানিক মাঠে দাঁড়িয়ে। কে একজন এসে মানিকের সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে মানিক হতাশ কণ্ঠে বলছিলেন কি আর ছবি তুলবেন। অনুরোধ রাখতে বাধ্য হলেন। তার চোখে মুখে ভাসছিল দুই দুইটা সুযোগ কীভাবে নষ্ট করল। রেফারি আলমগীর সরকারের কথা বলছিলেন মানিক। গোলমুখের ওপরে দাঁড়িয়ে দেখাচ্ছিলেন এখানে একটা ফাউল হয়েছিল সেটা দেয়নি রেফারি। ওটা গিয়েই গোল হয়েছে।

সত্যিকার অর্থে আবাহনীর আক্রমণ ভাগের শক্তির কাছে মোহামেডানের রক্ষণ দাঁড়াতেই পারেনি। বরং বলতেই হয় দুই গোল পেয়ে তারা জিতে গেছি একটা ভাব এসে যায় শরীরে। ৫৮ মিনিটে কলিন্দ্রেসের গোলটা আবাহনীর ম্যাচ জয়ের পথ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে। আবাহনীই আরো গোল আদায় করতে পারত। মোহামেডানের পারফরম্যান্স কোনো ভাবেই আমলে নেওয়ার মতো না। আবাহনীর আক্রমণ ভাগের ভয় এবং নিজেদের রক্ষণ দুর্বল। এই দুইয়ে মানিকের কৌশল রক্ষণভাগ সামাল দিয়ে খেল। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার রজার ভালো খেলেছে। কিন্তু একা কত সামাল দেবেন। অধিনায়ক মালির ফুটবলার অধিনায়ক দিয়াবাতে আক্রমণভাগে খেললেও তাকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো আর ফুটবলার কোথায়।

এদিকে মোহামেডানকে হারিয়ে আবাহনী একটু স্বস্তি পাচ্ছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে বলে। তবে এখনো শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে আবাহনী, তা-ও আবার এক ম্যাচ বেশি খেলে। আজ যদি বসুন্ধরা তাদের নিজেদের মাঠে শেখ রাসেলকে হারিয়ে দেয় তাহলে আবাহনীর সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান হবে ৬। এছাড়া মোহামেডান নেমে গেছে ৮ নম্বরে, ৬ পয়েন্ট নিয়ে। তাদের এ আসরে একমাত্র জয় মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় মোহামেডানের খেলা বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে।

Source link

Related posts

পূর্ববর্তী বেঞ্চ-ক্লিয়ারিং ঘটনার পরে রাইস হসকিন্সের পিছনে নিক্ষেপ করার জন্য মেটস পিচারটি বের করে দেওয়া হয়েছিল

News Desk

NC-তে $400-তে FanDuel এবং DraftKings প্রোমো কোড পান; অন্য সব রাজ্যের জন্য $350

News Desk

হোসে বোটো মেটস-এর সাথে তার সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার জন্য রয়্যালসকে রত্ন ছুড়ে দেন

News Desk

Leave a Comment