মুমিনুল হককে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে টেস্ট স্পেশালিস্ট তকমা। টি-টোয়েন্টি কি কেবলই ছক্কার খেলা! না, গ্যাপ দেখে খেলতে পারলে ছক্কা না হাঁকিয়েও ঝড় তোলা সম্ভব, জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক সেটা দেখাচ্ছেন নিয়মিত।
আগের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে শেষদিকে নেমে ৪ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ৩৬ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো এক ইনিংস বেরিয়ে এল মুমিনুলের উইলো থেকে, যে ইনিংসে ৮টি চার থাকলেও ছিল না কোনো ছক্কার মার।
মুমিনুলের সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তাতেই মিরপুরে শেখ জামালকে ৭ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হেসেখেলে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে সমান ১১ বল খেলে সমান ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন গাজী গ্রুপের সৌম্য সরকার আর শাহাদাত হোসেন।
সেখান থেকে তৃতীয় উইকেটে ৯৭ রানের বড় জুটিতে দলকে সহজ জয়ের পথ করে দেন মুমিনুল আর মাহমুদউল্লাহ। দুজনই পান হাফসেঞ্চুরি। মুমিনুল ৫৪ রানে সাজঘরে ফিরলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৫১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৬২ রান করেন তিনি।
এর আগে ৭ উইকেটে ১৫১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৩৫ বলে ৪ ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংস খেলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রান পেয়েছেন ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী সৈকত আলীও। ৩০ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন তিনি। ব্যাট হাতে ছোটখাটো ঝড় তুলেছেন নাসির হোসেন আর জিয়াউর রহমান।
নাসির ১৩ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ২০ আর জিয়াউর ১৬ বলে ১ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন ২১ রান। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ১১।
গাজী গ্রুপের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।