তার সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে দেশের মাটিতে ব্যাট হাতে রাজত্ব দেখালেও দেশের বাইরে সাফল্য ধরা দিচ্ছিল না একেবারেই। এবার খরা কাটালেন মুমিনুল হক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্যান্ডিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি।
ইনিংসের ১১১তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে কাট করে বাউন্ডারি হাকিয়ে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল। বিদেশের মাটিতে এটিই তার প্রথম সেঞ্চুরি। দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান।
গতকাল (বুধবার) ম্যাচের প্রথম দিন ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল। এই ফিফটিও তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৭ সালের পর বিদেশের মাটিতে ৫০ ছোঁয়া কোনো ইনিংস ছিল না তার। সেটির স্বাদ নিয়েছেন কালই। দিনের খেলা শেষে ৬৪ অপরাজিত ছিলেন তিনি। আজ নিজের ইনিংসটি টেনে শতকে রূপ দিলেন মুমিনুল। খরা কাটিয়ে দেশের মাটিতে প্রথম শতকের দেখা পেলেন।
২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। প্রায় সাড়ে ৮ বছরের ক্যারিয়ার। দীর্ঘ পথচলায় অন্য দুই ফরম্যাটে সেভাবে সুযোগ পাননি মুমিনুল। অনেক আগেই তার নামে টেস্ট ক্রিকেটারের তকমা। সেটিকে আলিঙ্গন করে এগিয়ে চলেছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
টেস্টে এতোদিন ১০টি শতক নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন, তবে সবগুলোই ছিল দেশের মাটিতে। এনিয়ে সমালোচকদের অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। অবশেষে আসলো সেই কাঙ্ক্ষিত শতক। সঙ্গে ১১ সেঞ্চুরি নিয়ে সতীর্থ তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যবধান বাড়ালেন তিনি। ৯টি সেঞ্চুরি নিয়ে তামিম আছেন সর্বোচ্চ শতকের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।
তৃতীয় বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন মুমিনুল। এর আগে ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল ও ২০১৩ সালে গলে অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরি হাকান মুশফিকুর রহিম। পরে অবশ্য সেটিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দেন মুশফিক। সব মিলিয়ে ২২তম সফরকারী দলের অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কায় সেঞ্চুরি পেলেন মুমিনুল হক।