ব্রাজিল কিংবা বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি বলা হয়ে থাকে পেলেকে। টানা তিনবার বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে জয়ের রেকর্ড রয়েছে তার। ব্রাজিলের হয়ে সোনালী সময় পার করা এই ফুটবলারের রেকর্ড ভাঙা খুব একটা সহজ কাজ নয়। ব্রাজিলের হয়ে নব্বরই দশকে বিশ্ব মাতানো ফুটবলার রোনালদো ডি লিমা, রোনালদিনহোর মতো তারকাও পারেননি কিংবদন্তি এই ফুটবলারের রেকর্ড ছুঁতে। তবে এই কঠিন কাজটিই সহজে করতে যাচ্ছেন সেলেসাওদের তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়র।
ব্রাজিলের হয়ে অলিম্পিক ছাড়া বড় কোনো ট্রফি জেতা হয়নি নেইমারের। সবশেষ কোপা আমেরিকা জিতেছে ব্রাজিল। কিন্তু ইনজুরির কারণে পুরো টুর্নামেন্টেই দলের বাইরে ছিলেন তিনি। ফলে কোপার শিরোপা জয়েও তার অবদান নেই। শিরোপা জিততে না পারলেও ব্রাজিলের জার্সি গায়ে পেলে রেকর্ডের দিকে ছুটে চলছেন পিএসজির হয়ে খেলা এই তারকা ফরোয়ার্ড। ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি পেলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পথে তিনি।
ফুটবল কিংবদন্তি পেলে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ৯২ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন। এসময় তিনি গোল করেছেন ৭৭টি। আর নেইমার এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের হয়ে ১০৭ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। তার গোল সংখ্যা বর্তমানে ৬৮। আর মাত্র ৯টি গোল করলেই পেলেকে ছুঁতে পারবেন তিনি। এরপর নিজে ছড়িয়ে নিয়ে যাবেন হলুদ জার্সিতে সর্বকালের সেরা গোলদাতার তালিকায়।
নেইমারের সামনে এখনো অনেক সময় বাকি। ইনজুরি না পড়লে হয়তো অনেক আগেই রেকর্ডটি নিজের করে নিতে পারতেন তিনি। কিন্তু বছরের অর্ধেকটা সময়ই তার ইনজুরিতে কেটে যায়। ২০১৪ সালে তাকে ঘিরে বিশ্বকাপ জয়ের যে স্বপ্ন দেখেছিল ব্রাজিল। কলম্বিয়া ম্যাচে পিডের হাড় ভেঙে সেটাও মাটি হয়ে যায় তাদের। তবে ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নেইমার যেভাবে গোল করে যাচ্ছেন তাতে হয়তো এবার ঘরের মাঠে কোপার শিরোপা নিজের করে নিতে পারবেন তিনি।
বয়স মাত্র ২৯, এখনো ছয় থেকে সাত বছর জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ রয়েছে নেইমারের। এরই মধ্যে পেলের করা রেকর্ডটি ভাঙার সামর্থ্য রয়েছে তার। ব্রাজিলের জার্সিতে রোনালদো ডি লিমা ৯৮ ম্যাচে ৬২ গোল করেন। আরেক সাবেক তারকা ফুটবলার রোনালদিনহো এক ম্যাচ কম খেলে করেন ৩৩ গোল।