শুরুর ছন্দ যেন দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে পেল ম্যানচেস্টার সিটি। পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াল দারুণভাবে। পিএসজিকে ২–১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে গেল তারা।
প্রথমার্ধ জুড়ে বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণের পসরা সাজিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে দমিয়ে রেখেছিল পিএসজি। এগিয়েও ছিল ফরাসি জায়ান্টরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে এসে তার ছিঁটেফোটাও ধরেও রাখতে পারেনি তারা। উল্টো সাত মিনিটে দুই গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা বাড়ালো পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা।
বুধবার রাতে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে প্যারিসে এসে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংলিশ জায়ান্টরা। মার্কুইনহোসের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। কিন্তু কেভিন ডি ব্রুইনের গোলে সমতায় ফেরে সিটি। এরপর রিয়াদ মাহরেজের দারুণ গোলে জয় তুলে নেয় সিটিজেনরা।
শুরু থেকে সিটির রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে পিএসজি। একেরপর এক আক্রমণে ১৫তম মিনিটে এসে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডান পাশ থেকে দি মারিয়ার কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে দলকে এগিয়ে নেন মার্কুইনহোস। পিছিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষের উপর পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা চালায় সিটিজেনরা। ২১তম মিনিটে বের্নার্দো সিলভার দারুণ প্রচেষ্টা পরাস্ত করতে পারেনি কেইলর নাভাসকে।
এরপর বেশ কয়েকবার সুযোগ সৃষ্টি করেন দি মারিয়া। কিন্তু তার কাছ থেকে বল পেয়েও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার-কিলিয়ান এমবাপেরা। ৪২তম মিনিটে সিটির আরও একটি দুর্দান্ত সুযোগ ব্যর্থ করে দেন নাভাস।
বিরতির পর খেলার ধরণ বদলে যায় পিএসজির। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে গতবারের রানারআপরা। ৬৪তম মিনিটে নাভাসকে অভাক করে সিটিকে সমতায় ফেরান ডি ব্রুইন। বাঁ দিক থেকে তার দারুণ এক ক্রস কিছুটা বেঁকে গিয়ে সরাসরি জালে জড়ায়। সাত মিনিটের ব্যবধানে দলকে জয় সূচক গোল এনে দেন মাহরেজ। ডি-বক্সের সামনে থেকে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
পিছিয়ে পড়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পিএসজি। উল্টো মেজাজ হারিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। একই কারণে লাল কার্ড দেখেন ইদ্রিসা গেয়ি। দশ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি পিএসজি। ফাইনালে যেতে হলে আগামী মঙ্গলবার ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় লেগের খেলায় অন্তত ২-০ ব্যবধানে জিততে হবে নেইমারদের।