মাত্র কিছুদিন আগেই ৩৯তম জন্মদিন পালন করে ৪০-এ পা দিয়েছেন ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। একজন পেসার হয়েও এত লম্বা সময় ধরে খেলে যাওয়া, আধুনিক টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল একটি ঘটনা। কিন্তু ইংলিশ পেসার অ্যান্ডারসন যেন এখনও সেই ২৫-৩০ এর তরুণ। দিব্যি বল করে যাচ্ছেন।
শুধু বল করে যাচ্ছেন বললে সম্ভব ভুল হবে। দিব্যি উইকেটও নিয়ে যাচ্ছেন। এই যেমন আজ, বৃহস্পতিবার এন্ডারসন সাজঘরের পথ দেখিয়ে দিলেন দুই ভারতীয় টপ অর্ডার চেতেশ্বর পুজারা এবং বিরাট কোহলিকে। এই দুটি উইকেট তুলে নিয়ে রেকর্ডের পাতায় নিজের নামকে আরও একধাপ উপরে তুলে নিয়েছেন তিনি।
আগেই পেসারদের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন তিনি। এবার একে একে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পালা। সে লক্ষ্যে এবার ছুঁয়ে ফেললেন ভারতীয় কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলের উইকেটের রেকর্ডও। আর একটি উইকেট ফেলে ছাড়িয়ে যাবেন কুম্বলের রেকর্ডকে।
টেস্ট ক্রিকেটে অনিল কুম্বলের উইকেটসংখ্যা ৬১৯টি। পুজারা এবং কোহলিকে সাজঘরে ফেরানোর পর জেমস অ্যান্ডারসনের উইকেটসংখ্যা হলো ৬১৯টি। ৭০৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেন ওয়ার্ন এবং ৮০০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন।
এ যেন ২০১৪ সালের প্রতিচ্ছবি। ব্যাট হাতে বিরাট কোহলিকে সাজঘরে ফিরিয়ে আনন্দে আত্মহারা জেমন অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ড বোলিং লাইনআপ বিশেষত জেমস অ্যান্ডারসনের বিপক্ষে কোহলি কেমন ব্যাট করেন, সেদিকে নজর ছিল পুরো বিশ্বের। তবে প্রথম বলেই কোহলিকে সাজঘরে ফেরত পাঠালেন ইংল্যান্ডের তারকা বোলার।
২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে এই দৃশ্যটি অনবরত দেখা গেলেও পরের সফরেই ইংল্যান্ডের তারকা বোলারের বিরুদ্ধে দাপট দেখিয় সিরিজে রানের পাহাড় তৈরি করেছিলেন বিরাট। তবে ২০২১ শুরুতেই আবার ফিরল সেই পুরনো দৃশ্য। চতুর্থ স্ট্যাপের বলে কোনা লাগিয়ে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ক্যাপ্টেন কোহলি, বোলার সেই অ্যান্ডারসনই।
ব্য়াট হাতে খারাপ ফর্ম অব্যাহত ভারতীয় দলের সম্ভবত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারারও। কোহলিকে আউট করার আগের বলেই পূজারাকেও সাজঘরে ফেরান অ্যান্ডারসন। সেই চতুর্থ স্ট্যাপের বলেই খোঁচা লাগিয়ে উইকেটরক্ষক বাটলারের দস্তানায় ধরা দেন তিনি। পরপর দুই বলে এই দুই উইকেটের সুবাদে অ্যান্ডারসনের মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। প্রথম ফাস্ট বোলার হিসাবে ৬০০ উইকেট নেওয়ার নজির আগেই গড়েছিলেন, এবার ছুঁলেন অনিল কুম্বলেকে।