চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরু থেকেই মোটামুটি রানের দেখা পাচ্ছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু ৩০-৩৫ রানের সেসব ইনিংস ঠিক নিজের মতো করে সাজাতে পারেননি তিনি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই রানের চেয়ে বেশি বল খেলে দলকে চাপে ফেলেছেন এ তরুণ ওপেনার।
অবশেষে ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে ম্যাচে স্বরুপে ফিরলেন ২০ বছর বয়সী তানজিদ হাসান তামিম। যাকে এখনই ডাকা হয় জুনিয়র তামিম নামে। শুক্রবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রায় একা হাতেই ডিওএইচএসকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি, খেলেছেন ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস।
সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানের বেশি করতে পারেনি ডিওএইচএস। যার জবাবে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই ম্যাচ জিতে নিয়েছেন তানজিদ তামিমের শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। দলের জয়ে বড় অবদান তামিমেরই। ফলে অবধারিতভাবেই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ডিওএইচএসের দেয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলেছেন তামিম। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি পূরণ করেছেন ৩৭ বলে। সেখানেই থেমে থাকেননি দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। তার নামের পাশে তখন ৭ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫৯ বলে ৭৯ রানের ইনিংস। এছাড়া ২৮ রান করেছেন অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়।
এর আগে ডিওএইচএসকে বলার মতো সংগ্রহ এনে দেয়ার কৃতিত্ব রাকিবুল ইসলাম রাজার। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ওয়ানডেসুলভ ব্যাটিং করতে হয়েছে তাকে। চার নম্বরে নেমে খেলেছেন ৫৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল মাহমুদুল হাসান জয় (১৯ বলে ২১)।
শাইনপুকুরের পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও সুমন খান। দুই বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ও হাসান মুরাদের শিকার ১টি করে উইকেট।