Image default
আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা জাতিসংঘের

মিয়ানমারে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশি নৃশংসতায় অসহায়ত্ব চরমে পৌঁছেছে দেশটির মানুষের। এরই মধ্যে দেশটির উন্নয়ন অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে গেছে বলেই সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী বছর দেশটিতে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

একে তো করোনার মহামারি তার ওপর দিনের পর দিন ধরে চলছে জান্তাবিরোধী সহিংস বিক্ষোভ। সব মিলিয়েই থমকে গেছে মিয়ানমারের অর্থনীতির চাকা। দেশটিতে ক্রমেই বাড়ছে দারিদ্র আর ক্ষুধা। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই দেশটির আড়াই কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। শুক্রবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। জাতিসংঘ জানায়, অবাক হওয়ার কিছু নেই। দেশ ১৫ বছর পেছনে চলে গেছে যখন মিয়ানমারের মানুষ অনেক গরিব ছিল। যতটা উন্নয়ন হয়েছিল বিগত বছরগুলোয় সব শেষ হয়ে গেছে আন্দোলনে।

ইউনাইটেড ন্যাশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার কারণে গত বছরের শেষে মিয়ানমারের ৮৪ শতাংশ পরিবারের আয় অর্ধেকে নেমে আসে। এ সময়ে দরিদ্রসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১১ শতাংশ। দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের শেষেই আরও ১২ শতাংশ বাড়তে পারে এই হার। খাদ্য সংকটে ভুগতে পারে দেশটির অর্ধেকের বেশি শিশু। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতায় আট শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের একটি বড় অংশ, চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাংকারসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যোগ দিয়েছেন অসহযোগ আন্দোলনে।

সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনে দিনরাত অভিযান চালাচ্ছেন নিরপাত্তারক্ষীরা। এ অবস্থায় দেশটিতে স্থিতিশীলতা না ফিরলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে জাতিসংঘ।

Related posts

আফগানিস্তানের ৩ জেলার দখল নিল বিরোধী জোট

News Desk

কলকাতায় শূন্যে নামল করোনায় মৃত্যু

News Desk

ইসলাম নিয়ে কটূক্তি: ক্ষমা চাইলেন বরিস জনসন

News Desk

Leave a Comment