Image default
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের পথশিশুদের জন্য ব্রিটিশ শিশু হান্নাহর অন্যরকম ভালোবাসা

বাংলাদেশের পথশিশুদের সহায়তায় ৪০ কিলোমিটার হেঁটে ১৪ হাজার ৫৩৫ পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করেছে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৯ বছর বয়সী শিশু হান্নাহ মিয়া। গত রমজান মাসে বাংলাদেশের পথশিশুদের কয়েকটি হৃদয়স্পর্শী ভিডিও অনলাইনে দেখার পর সে এই পথশিশুদের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা নেয়। অবশেষে তার সেই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। বাংলাদেশি পথশিশুদের জন্য ব্রিটেনের এই বাসিন্দা বাংলাদেশি ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ২২৪ টাকা সংগ্রহ করেছেন।

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইনইওরএরিয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিশুর হান্নাহ মিয়ার অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পথশিশুদের ভিডিও দেখার পর তাদের সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয় শিশু হান্নাহ মিয়া। প্রথমে হেঁটে এক হাজার পাউন্ড অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করে সে। তার এই লক্ষ্যপূরণে ম্যানচেস্টারের ওল্ডহ্যামের বাসিন্দাদের অভূতপূর্ব সাড়া মেলে। লক্ষ্য পূরণ হয় তার। বাংলাদেশি পথশিশুদের জন্য সে ১৪ হাজার পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করে।

এই প্রচেষ্টা রাস্তার পথশিশুদের প্রতিদিনের লড়াই সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং যতটা সম্ভব পথশিশুদের রাস্তা থেকে উদ্ধার করবে বলে প্রত্যাশা হান্নাহ মিয়ার।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা পারিবারিক সহিংসতা অথবা নির্যাতন থেকে পালিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমায়। ঢাকার ফেরি ঘাট, বাস টার্মিনাল এবং কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশনের মতো বেশ কয়েকটি প্রবেশপথে তাদের ঠাঁই হয়। হান্নাহর অর্থ সংগ্রহের কাজে সহায়তা করেছেন তার বড় বোন ১২ বছর বয়সী আমানা। বোনের এই কাজে সহায়তার জন্য মিষ্টিজাতীয় খাবার বিক্রি করে লাভের ৬১০ পাউন্ড অর্থ হান্নাহকে দেন আমানা।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই শিশুর লিনধার্স্ট প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষও সহায়তা করেছে এবং তার এই অর্জনে তারাও গর্বিত বলে জানিয়েছে। হাঁটতে শুরু করার প্রথম দুই দিনের মধ্যে হান্নাহর অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্য এক হাজার পাউন্ড পূরণ হয়। পরে প্রত্যেকেই তাকে এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখার উৎসাহ দেয়।

গত ১৩ মের মধ্যে ১০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করে হান্নাহ। কিন্তু এই লক্ষ্য পূরণ হয়ে যায় গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই। হান্নাহ ইতেমধ্যে তার এই দাতব্য কাজের জন্য দ্য ওল্ডহ্যাম প্লেডজ হাই অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ও মরিসনস’স লিটল সানশাইন পুরস্কার অর্জন করেছে।

হান্নাহর মা জুয়েল মিয়া বলেন, হান্নাহর অর্থ সংগ্রহের কাজে কমিউনিটির প্রত্যেকের সমর্থন ছিল অবিশ্বাস্য। তার এই কাজ সবাইকে একত্রিত করেছে।

Related posts

বাস্তবতার পথেই হাঁটছে পারমাণবিক যুদ্ধের শঙ্কা

News Desk

বিধিনিষেধ শিথিলের আগে ব্রিটেনকে ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা

News Desk

নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর

News Desk

Leave a Comment