Image default
আন্তর্জাতিক

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস পুনঃস্থাপনকে স্বাগত জর্ডানের বাদশার

ইসরায়েলের নতুন রাজধানী জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থাপন ও সাম্প্রতিক যুদ্ধের পর তা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই শুভেচ্ছা তিনি জ্ঞাপন করেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম।

দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়েছেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী দল হামাস ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে ১১ দিন ব্যাপী যে সংঘাত হলো, তার প্রেক্ষিতে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও গাজা এলাকার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবশ্য গত ২১ মে জানানো হয়েছিল ব্লিনকেনের এই সফরের বিষয়ে। সেই অনুযায়ী. মঙ্গলবার জর্ডানে পৌঁছান তিনি এবং ওইদিনই জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

ইসলাম, খৃস্টান ও ইহুদি— এই তিন সেমিটিক ধর্মের ধর্মাবলম্বীদের কাছেই জেরুজালেম পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। ২০১৯ সালে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে দেশটির সরকার।

এ ঘটনায় তখন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়; কিন্তু এই সমালোচনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং ইসরায়েলের সাবেক রাজধানী তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরিয়ে এনে জেরুজালেমে স্থাপনের নির্দেশ দেন।

এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনেও সক্ষম হয় ইসরায়েল। ফলে, জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী থাকবে কি না- এ প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত অবস্থা সৃষ্টি হয় মধ্যপ্রাচ্যে, যা এখনও চলছে।

জর্ডানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাদশা আব্দুল্লাহর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদশাকে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাকে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

বৈঠকে তিনি আরো জানান, হামাস ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে সদ্য শেষ হওয়া যুদ্ধের ফলে বিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ড পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রী সেখানে পাঠানো শুরু করেছে।

Related posts

রানির শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকছেন না সালমান

News Desk

করোনা টিকার জন্য ব্রিটেনের কাছে কাতর আর্জি নেপালের

News Desk

কলকাতায় শূন্যে নামল করোনায় মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment