ভারতে সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় চীন জানিয়েছে, প্রতিবেশি দেশটির মহামারীর এই পরিস্থিতিতে যেকোনো প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে তারা প্রস্তুত রয়েছে। অপরদিকে করোনা সংক্রমিত রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন আমদানির জন্য চীনের কথা বিবেচনায় রাখছে না ভারত। বৃহস্পতিবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস সংক্রমণকে সকল মানুষের সাধারণ শত্রু হিসেবে বর্ণনা করে এক বিবৃতিতে জানায়, করোনা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সংহতি ও পারস্পরিক সহায়তার প্রয়োজন স্পষ্ট করেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ভারতে করোনার সাম্প্রতিক শোচনীয় পরিস্থিতিতে চীন দেশটির মহামারী প্রতিরোধী চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব সাময়িক লক্ষ্য করেছে।
অপরদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহে করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন আমদানির কথা ঘোষণা করেছেন। তবে এই অক্সিজেন আমদানির জন্য চীনের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, অক্সিজেন আমদানির জন্য তারা সম্ভাব্য উৎস হিসেবে উপসাগরীয় দেশ ও সিঙ্গাপুরের কথা চিন্তা করছেন।
গত বছর চীন থেকে ভারত বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি করেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকা দুই দেশই দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করে আসছিল। তবে ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি অন্য দেশে আর টিকা রফতানি করছে না। যদিও ভারতে টিকা রফতানিতে সরকারিভাবে এখনো কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।
ভারতীয় টিকা সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াই ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কা ও নেপাল চীনের কাছ থেকে টিকা আমদানি শুরু করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশও চীন থেকে টিকা আমদানির জন্য আলোচনা করছে।
জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুসারে, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ছয় শ’ ৯৫ জন। অপরদিকে ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৮৬ হাজার নয় শ’ ২৮ জনের।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া