করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং। রোববার হরিয়ানার রোহতকের সুনারিয়া জেল থেকে গুরগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার করোনা ধরা পড়ে। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। তখনই রোহতকের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে নিয়ে গিয়ে তার কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তিনি করোনা পরীক্ষা করাতে চাননি। অবশেষে রোববার কড়া পুলিশ প্রহরার মধ্যেই গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালে নিয়ে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। এরপরই তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
সুনারিয়া জেলের সুপারিনটেনডেন্ট গণমাধ্যমকে জানান, রাম রহিমের আরও কিছু পরীক্ষা করানো দরকার। কিন্তু তিনি যে হাসপাতালে আছেন সেখানে এই পরীক্ষাগুলো করা হয় না। ফলে ফের তাকে মেদান্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে রোহতকেই তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে।
গত মাসেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাম রহিম। বিতর্কিত এই ধর্মগুরুর ওই সময় রক্তচাপের সমস্যা হয়েছিল। এক রাত হাসপাতালে রেখে তার চিকিৎসাও করানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত মাসে প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিলেন রাম রহিম। অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার জন্য তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়েছিল। প্যারোলে এভাবে মুক্তি দেয়ার পর অনেকে এই সিদ্ধান্তের অনেক সমালোচনা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, দু’জন নারীকে ধর্ষণের অপরাধে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ভারতের ধর্মীয় সংগঠন ‘ডেরা সচ্চা সৌদা’র প্রধান রাম রহিমকে ২০ বছরের সাজা দিয়েছিলেন দেশটির আদালত। সেই সঙ্গে সাংবাদিক রামচন্দর ছত্রপতিকে খুনের অপরাধে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেয়া হয়।