Image default
ইতিহাস

তারুণ্যের ভাবনায় একুশ ও বাংলা ভাষা

ফিচার ডেস্ক

প্রানের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা। যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে গৌরবের স্মারক বহন করে চলছে। বায়ান্ন থেকে দু’হাজার তেইশ সাল। পেরিয়ে গেছে ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কি ভাবছেন, কিভাবে লালন করছেন বাংলা ভাষা, বিষয়টি অনুসন্ধান করে লিখেছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাবেয়া সুলতানা হিমি।

একুশ আমাদের প্রেরণার অজস্র উৎস

_ আফসানা মিমি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

বাঙালি জাতির জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারি এমনি একটি দিন, যা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের ধারায় নিরন্তন, গতিময়, প্রাণবন্ত ও তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত সংগ্রামের ভেতর দিয়ে বাঙালির জাতিসত্তায় যে চেতনার জন্ম হয়েছিল তা ছিল এক অবিনাশী চেতনা।

একুশে চেতনার জন্ম হয়েছিল এক ঐতিহাসিক পেক্ষাপটে। জাতিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় একপর্যায়ে ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার মানুষের অস্তিত্ব ও ভাগ্যকে জুড়ে দেয়া হয়েছিল পাকিস্তানের সাথে। তখন শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সেই সময় উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। এর প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পূর্ব বাংলা। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫১ এর মধ্যে জোরালো হয়ে ওঠে বাংলা ভাষার মর্যাদা আদায়ের দাবি। ভাষা আন্দোলনের ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তায় জন্ম নিয়েছিল একুশে চেতনা। এই চেতনাই আমাদের জাতীয় জীবনে আত্মত্যাগের বীজমন্ত্র।

২১শে চেতনার তাৎপর্য বহুমুখী- প্রথমত, বাঙালির জাতীয় চেতনাকে একুশ দিয়েছে স্ফটিকস্বচ্ছতা। আমাদের সচেতন, সক্রিয় ও প্রাণিত করেছে গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক চেতনায়। একুশের চেতনা ক্রমেই লাভ করেছিল স্বাধীনতার চেতনায়।

দ্বিতীয়ত, বাঙালির জাতিসত্তার স্বরূপ আবিষ্কারে একুশের অবদান অসামান্য। ২১শের চেতনা আমাদের এই মর্মে সচেতন করেছে যে,আমরা বাঙালি।

তৃতীয়ত, আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এবং শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির চেতনার বিকাশে একুশে ফেব্রুয়ারি যেন হাজার তারের বাণী।তাতে কত না সুর, কত না ঝংকার। একুশের ফসল আবদুল গফফার চৌধুরীর অন্যতম গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গান আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশে উজ্জীবনী মন্ত্রের প্রেরণা।

একুশ আমাদের অহংকার, একুশ আমাদের প্রেরণার অজস্র উৎস। আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশে অমর একুশ একাধারে ইতিহাস ও ঐতিহ্য, গৌরবগাতা ও প্রাণভোমরা। এই চেতনা অম্লান রেখে জাতির সব ধরনের কল্যান ও অগ্রগতির পথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে একুশের চেতনার পতাকা সমুন্নত রাখার জন্য।

দিবস নয়, মাতৃভাষার প্রতি টান থাকুক

_ মাঈন উদ্দিন আহমেদ, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ

মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাঙালিদের মতো বৃহৎ আত্মত্যাগের নমুনা আর কোন জাতির ইতিহাসের পাতায় নেই। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ সাল। বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইয়ের অদম্য অধ্যায়। যার চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, যেদিন পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবার ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিল কোন জাতি৷ ভাষার জন্য অভূতপূর্ব আত্মত্যাগের সম্মানে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ কতৃক একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আনন্দের বিষয়।

বর্তমানে বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের ভালোবাসা কেমন যেন দিবস ভিত্তিক হয়ে গেছে। অনেকটা বিবাহবার্ষিকী বা জন্মদিনের আমেজের মতো। যেন কৃত্রিম আয়োজনে বাৎসরিক সম্মাননার অনুষ্ঠান। একদিনের জন্য ভাষার প্রতি সকলের সব আবেগ ঝর্ণার বেগে উছলে পড়ে। রাস্তার মোড়ে, মঞ্চে আর ঘরে দেশাত্মবোধক গান, মহান ভাষণের ফুলঝুরি। কিন্তু দিন ফুরালেই ফুড়ুৎ—সেই পুরোনো অনাদরের ঘরে গমন। যে ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলার সবুজ ভূমি হয়েছিল রক্তের চাদর, প্রাণ গেল লাখ লাখ মানুষের সে ভাষার এই অনাদর মেনে নেওয়া যায় না৷

রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ভাষা নিয়ে এখন আমরা হেলাফেলায় মত্ত। বাংলা ভাষাকে বাদ দিয়ে অপ্রয়োজনে অন্য ভাষাকে ব্যবহার করছি অহরহ। রাস্তায় বের হলেই অজস্র বানান ভুলের ভুল রাজ্যের দেখা পাই। ছোট-বড় দোকান থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন কি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বানান ভুল নজরে পড়ে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ মানেই সেখানে বানান ভুল পাওয়া যাবে, এর চেয়ে কষ্টের আর কিছু হয় না৷

কোন দোকানের নামের বানান ভুল থাকলে সেখান থেকে আমি কিছু কিনি না। সেই তুলনায় ইংরেজি বানান ভুলের প্লেট তেমন চোখেই পড়ে না৷ বাংলা উচ্চারণ নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই অথচ মাসের পর মাস কোর্স চলছে ইংরেজি উচ্চারণের উপর। আমাদের সব অজ্ঞতা, উদাসীনতা বাংলা ভাষাকে নিয়ে। আমি আঞ্চলিক বাংলা ভাষাকেও খুব ভালোবাসি। যেখানে প্রয়োজন প্রমিত বাংলা ভাষা ব্যবহার করি, যেখানে স্বাচ্ছন্দ আঞ্চলিক বাংলা ভাষা ব্যবহার করি৷ মাতৃভাষা হলো মানুষ প্রাকৃতিকভাবে যে ভাষা লাভ করে। আমি প্রাকৃতিক নিয়মে মায়ের কাছ থেকে আঞ্চলিক বাংলা ভাষা শিখেছি। তাই আমার মাতৃভাষা আঞ্চলিক বাংলা ভাষা। তবুও যেখানে প্রমিত ভাষা প্রয়োজন সেখানে প্রমিত বাংলা’ই ব্যবহার করি৷ আমি চাই, দিবস ভিত্তিক না হয়ে মাতৃভাষার প্রতি টান থাকুক সারাক্ষণ।

বাংলা ভাষা রক্ষার শপথ নিতে হবে

_ আবদুল কাদের নাগিব, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

একটি স্ফুলিঙ্গ যেমন একটি দাবানল সৃষ্টি করতে পারে, তেমনি পূর্ব পাকিস্তানের গণআন্দোলনের ওপর পুলিশের গুলির্ষণ থেকে ১৯৫২ সালে সৃষ্টি হয়েছিল তেমনি একটি দাবানল। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন ১৯৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারি ।১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস পুরো বিশ্বের কাছে অভাবনীয় হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশিরা এই দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে অকুতোভয় সৈনিকরা জীবন দিয়েছেন এই দিনটিতে। ইতিহাসে ভাষার জন্য জীবন দানের এমন নিদর্শন আর নেই। এই অকুতোভয় ভাষা শহীদদের প্রেরণাতেই একসময় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মগ্রহণ সম্ভব হয়েছে, একথা একবাক্যে সবাই স্বীকার করবে। কিন্তু বর্তমানে আমরা তাদের এই অবদান কতটুকু সম্মানের সাথে স্মরণ করছি? আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলার প্রতি কতটুকু শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছি? ভাষার স্বাধীনতা রক্ষায় কতটুকু সচেষ্ট হচ্ছি? একটু ভেবে দেখুন তো!

আমাদের ঘরে ঘরে আজ বিদেশি ভাষার কত প্রভাব আর চর্চা! এটা আমাদের কাম্য নয়। যে স্বাধীন রাষ্ট্র আর মাতৃভাষা বীর শহীদেরা আমাদের জন্য রেখে গেছেন তার স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। কি করেছি আজ নিজেদের বাংলা ভাষার জন্য? ছেলে-মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়াম পড়াচ্চছি খুব ভালো কিন্তু বাংলা শিখবে না একদমই এটা কতটা লজ্জার ও দুঃখের!

আজকের দিন থেকে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে এবং ভাবনাগুলো ধরে রাখতে হবে। আসুন শপথ করি, আজ থেকে বাংলা বলব, বাংলা শুনবো ও বাংলা দেখবো আমাদের তরুণ প্রজন্মকে। আসুন আমরা সেই সব ভাষা শহীদদেরকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি এবং মন থেকে ভালোবাসায় বলি- আমরা তোমাদের ভুলিনি, ভুলবো না। তোমরা থাকবে হৃদয়ের লাল গালিচায় হাজার বছর হাজার বাঙালির ভালোবাসায় চির অমলিন।

বাংলা ভাষার নিজস্বতা লঙ্ঘিত হচ্ছে ক্রমাগত

_ এহ্ছানুন নাহার, বাংলা বিভাগ

শুরুতেই মহান একুশে ফেব্রুয়ারির শহীদ দিবসে শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র সশ্রদ্ধ সালাম। একবিংশ শতাব্দীতে মাতৃভাষা দিবস মহাসমারোহে উদযাপিত হলেও বাংলা ভাষার নিজস্বতা লঙ্ঘিত হচ্ছে ক্রমাগত। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের বাংলা ভাষা। ভাষা আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন ও বিস্তার ঘটানো। কিন্তু ভাষার দাবিতে শিক্ষক ও ছাত্র সমাজের অবদান অগ্রগণ্য হলেও আমাদের দেশে উচ্চ শিক্ষা, চাকরি, অফিস-আদালত ইত্যাদি শিক্ষিত সমাজে ইংরেজির প্রাধান্য লক্ষণীয়। বাংলা ভাষার ব্যবহার আমরা কেবল গল্প, কবিতা বা উপন্যাসেই নয় বরং আমরা বাংলাকে দেখতে চাই তথ্যের অবাধ প্রবাহে, প্রযুক্তির ডিজিটাল ভার্সন এবং জ্ঞান ও গবেষণার ভাষা হয়ে উঠুক আমাদের প্রিয় বাংলা। এছাড়াও শিক্ষা,শিল্প, সংস্কৃতিতে বাংলা ভাষার অগ্রসরমান কাম্য। পাশাপাশি বাংলা ভাষা বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণামূলক সেমিনার বাংলার প্রসারে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

একুশের চেতনাকে আঁকড়ে ধরতে হবে

_ মোশফিকুর রহমান ইমন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

যে ভাষায় কথা বলি, যে ভাষায় গান গাই তা আসলেই অকৃত্রিম মধু। বাঙালি জাতির অন্যতম প্রপ্তি অমর একুশ। এটি একটি ভালোবাসার নাম, আবেগের নাম,চেতরার সেই‌ মহা স্তম্ভ। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার্থে বাঙালির যে আত্মত্যাগ তা ইতিহাসে বিরল। বাঙালিদের এ সীমাহীন আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে দুঃখের বিষয় এই যে আজ আমরা বাংলা ভাষাকে বিকৃতভাবে উচ্চারণ করছি। প্রাণের এ ভাষাকে অবজ্ঞা করছি। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে বিশ্বের অন্যান্য ভাষারও গুরুত্ব রয়েছে। তবে তা বাংলাকে উপেক্ষা করে নয়। বাংলা আমাদের প্রাণের ভাষা এটি আমাদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

তারুণ্যের ভাবনায় একুশ ও বাংলা ভাষা

একুশের চেতনাকে আকড়ে ধরতে হবে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলা ভাষাকে রক্ষা ও অবিকৃত রাখতে বাংলা একাডেমিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে দুঃখের বিষয় এই এখন শুধু একুশে ফেব্রুয়ারি আসলেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। অন্য সময় সবকিছু থাকে মলিন। রাখা হয়না কোনো খোঁজ। ভাষা শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম একুশে ফেব্রুয়ারিতে ইংরেজি-হিন্দি গানে সাউন্ড বক্স বাজায়, ডিজে পার্টি করে এটা অপসংস্কৃতি। এতে শহীদদের অবমাননা করা হয়। অন্য ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা রাখতে হবে তবে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে নয়। দেশকে ভালোসতে হবে, সংস্কৃতি ও ভাষাকে ভালো বাসতে হবে। বাংলা ভাষার উচ্চারণ সঠিক ও অবিকৃত রাখতে তরণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মিশে যেতে হবে। এটাই যেন হয় জিয়ন কাঠি।

বাংলা ভাষার সঠিক প্রয়োগ করতে হবে

_ শৈলী কর্মকার, নাট্যকলা বিভাগ

প্রত্যেক পরিবারে শিশুকাল থেকেই বাংলা ভাষার চর্চার পরিবেশ গড়ে তোলা দরকার। শিশু মায়ের মুখে প্রথম যে ভাষা শুনে তার প্রতি এক মধুর মমত্ববোধ তৈরি হয়। একজন সচেতন বাবা-মাই পারেন তার সন্তানদের সঠিক ইতিহাস জানাতে। সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় আমাদের দেশে তিন ধরনের শিক্ষা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে চলতে হয় একজন শিশুকে। ইংরেজি মাধ্যমে যারা পড়ে তারা ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা লাভ করেন। মাদ্রাসায় আরবি শিক্ষা। বাংলা মাধ্যম স্কুলে বাংলা ভাষায় শিক্ষা দেয়া হয়। যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুমনে এক বিভাজনে ফেলে দেয়। সরকারি আইন ও উদ্যোগের পাশাপাশি আমাদের অভিভাবকদেরও মাতৃভাষার প্রতি সচেতনতা বাড়াতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বাংলা ভাষার সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। এখানে নিজেকে জাহির না করে দেশের কল্যাণে এই মাধ্যমকে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Source link

Related posts

কীভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঐতিহ্য ১৯১৮ সালের মহামারী কে প্রছন্ন করেছিল

News Desk

সেনেগাল: বিশ্বের একমাত্র দেশ যার স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় কুরআন খতমের মাধ্যমে !

News Desk

যেভাবে এসেছিল একুশের বিশ্বস্বীকৃতি

News Desk

Leave a Comment