Image default
ইতিহাস

আমাদের স্বাক্ষর ও তার উৎপত্তি ইতিহাস

আমরা আপনারা সবাই বিভিন্ন প্রয়োজনে কোনো না কোনো কাজে প্রায় সময়ই স্বাক্ষর করে থাকি। কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে, এই স্বাক্ষর করার প্রচলন কীভাবে আসলো? আজকে আমরা জানবো যে, কীভাবে এই স্বাক্ষরের প্রচলন হলো এবং তাঁর ইতিহাস।

খুব ছোটবেলায় বাবা যখন কোনো কাগজে স্বাক্ষর দিতো, তখন আমি নিজেই সেই স্বাক্ষরকে অনুকরণ করার চেষ্টা করতাম। পরে অবশ্য তিনি বুঝিয়েছিলেন স্বাক্ষরের ব্যবহার আর গুরত্ব। আর তার ধারাবাহিকতায় স্কুলের রেজাল্ট খারাপ হলেই চলতো এই স্বাক্ষরের ব্যবহার। আমার মতে অনেকেই আছেন এ কাজটি করেছিলেন। পরে অবশ্য অনেকবার ধরাও খেয়েছিলাম। স্বাক্ষর নকলের জন্য,উত্তম মধ্যমটাও ছিল সেইরকম। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে স্বাক্ষরের জন্য এতো মার খেলাম, সে স্বাক্ষরকে দেখে নিবো। হ্যাঁ বন্ধুরা, আজ সেই প্রতিশ্রুতি পূরনেরর জন্য স্বাক্ষরের কালক্রম তুলে ধরলাম।

স্বাক্ষর

স্বাক্ষর ( /ˈsɪɡnətʃər/;লাতিন: signare,”স্বাক্ষর করতে”) (বাংলা উচ্চারণ: হাতে লেখা (এবং প্রায়শই শৈলীকৃত) কারও নাম, ডাক নাম, এমনকি একটি সাধারণ “এক্স” বা অন্য চিহ্নের একটি চিত্র যা কোনও ব্যক্তি দলিল পরিচয় এবং অভিপ্রায়ের প্রমাণ হিসাবে লেখেন। স্বাক্ষরের লেখক হলেন স্বাক্ষরকারী। হস্তাক্ষরের মতো স্বাক্ষর রচনা কোনো কাজের স্রষ্টাকে দ্রুত সনাক্ত করে। স্বাক্ষর অটোগ্রাফের সাথে বিভ্রান্ত হতে পারে, যা মূলত শৈল্পিক স্বাক্ষর। যখন কারো অটোগ্রাফ এবং স্বাক্ষর উভয়ই থাকে তখন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে জনসাধারণের চোখে কিছু লোকেরা তাদের স্বাক্ষরগুলি ব্যক্তিগত রাখে কিন্তু তাদের অটোগ্রাফ পুরোপুরি প্রকাশ করে।

স্বাক্ষরের উৎপত্তি ইতিহাস

স্বাক্ষর আগে এসেছে না ভাষা আগে? অবশ্যই ভাষা আগে। স্বাক্ষর নিজের আক্ষরিক চিহ্নিত বর্ণমালার ব্যবহার বোঝায়। প্রাচীনকালে নিজের গোষ্ঠী, নিজের জায়গা চিহ্নিত করার জন্য বিভিন্ন কিছু ব্যবহার করতো। যেমনঃ গাছের কাঠ, পাথর, বিভিন্ন পশুপাখির কঙ্কাল প্রভৃতি।

হায়ারোগ্লিফিক
হায়ারোগ্লিফিক ; ছবি : thinglink

খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০ থেকে ২৫০০ সালের মধ্যে সুমেরিয়ান আর ইজিপ্টিয়ানরা পিকটোগ্রাফ ব্যবহার শুরু করে। এখন প্রশ্ন হলো – পিকটগ্রাফ কী? পিকটোগ্রাফ হচ্ছে ছবি ও সাংকেতিক চিহ্ন সমূহ যাদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য লেখা হতো। ভাবা যায়, একেকটা ছবি, একেকটা চিহ্ন একেকটা অর্থ! হায়রোগ্লাফিক এক ধরনের পিকটোগ্রাফ। খ্রীস্টপূর্ব ১৮০০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে ফিনিশিয়ানরা প্রথম বর্ণমালার ব্যবহার শুরু করে। এই বর্ণমালাগুলোতে ছিল ২২ টি ব্যঞ্জনবর্ন, কিন্তু কোনো স্বরবর্ণ ছিল না। খ্রীস্টপূর্ব ১২০০ সালের দিকে গ্রীকরা ফিনিশিয়ানদের বর্ণমালাগুলোর ব্যবহার শুরু করে এবং স্বরবর্ণ যুক্ত করে।

ফিনিশিয়ান বর্ণমালা
ফিনিশিয়ান বর্ণমালা ; ছবি : biblicalarchaeology

খ্রীস্টপূর্ব ৬০০ সালের দিকে গ্রীক বর্ণমালাগুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে আরেকটু উন্নতি ঘটায় ল্যাটিনযুক্ত বর্নমালা। শতাব্দীর মধ্যে এই বর্ণমালাগুলোই বারবার এক দেশ থেকে অন্যদেশে ব্যবহার হতে থাকে। সময়ের ক্রমবর্ধমান চলার কারণে দিনদিন ভাষার সাথে সাথে নিজস্ব পরিচয় প্রমাণের একটা ব্যাপার চলে আসে। এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে কোনো চিঠি পাঠালে বা রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ যেকোনো মালামালে স্ট্যাম্প করা সিল থাকতো যেটার প্রচলন এখনো আছে। আস্তে আস্তে বাজারের বিনিময় প্রথা উঠে গিয়ে মুদ্রা বিনিময় চালু হতে থাকলে, প্রত্যেক দেশ ও জাতির মুদ্রাগুলোও একেক চিহ্ন-বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসতে থাকে।

১০৬৯ খ্রীস্টাব্দের দিকে ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা মধ্যযুগের স্পেনের একজন অভিজাত বংশীয় ও সামরিক নেতা “এল সিড” এর নাম জানতে পারবো। ঐসময় স্বাক্ষরের প্রমাণ দেখা যায় তার স্বাক্ষর থেকেই। হাতের লেখা স্বাক্ষর প্রসার হতে শুরু করে সব জায়গাতেই এবং ১৬৭৭ সালের দিকে, সেসময় স্ট্যাচু অব ফ্রড নির্মাণের জন্য ইংল্যান্ড পার্লামেন্ট যাবতীয় চুক্তি, কাগজ সবকিছুতে স্বাক্ষর ব্যবহার করে।

এরপর দেখা যায়, বিভিন্ন দেশে তাদের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে, কোর্টে, পার্লামেন্টে স্বাক্ষরের প্রসার বাড়তে থাকে ।১৭৭৬ সালে জন হেনকক (আমেরিকার কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট) স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য স্বাক্ষর প্রদান করেন। প্রযুক্তির অগ্রসর সময়ের সাথেসাথে বাড়তে থাকে। এমনকি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম হয় নি। ১৮৬৯ সালে টেলিগ্রাফের মাধ্যমে নিউ হ্যাম্পশায়ার সুপ্রীম কোর্টে ডিজিটাল স্বাক্ষর চালু হয়।

জন হেনকক
জন হেনককের স্বাক্ষর ; ছবি : Wikimedia

এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ব গেলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ব গেলো কিন্তু স্বাক্ষরের ব্যবহার কমেনি। সেসময়কার শিক্ষিত মানুষরা তারা তাদের পুরো নাম ব্যবহারের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত নামের দিকে বেশি ঝুঁকেছিলো, যেটা স্বাক্ষর হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। এখনকার সময় আজও আপনি বিভিন্ন লেখকের নাম থেকে শুরু করে সব জায়গায় সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহারের প্রচলন দেখতে পান। ১৯৮০ সালের দিকে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোর্ট ফ্যাক্স মেশিনের মাধ্যমে স্বাক্ষরতা গ্রহনের অনুমতি দেয়। ততদিনে মানুষ বিভিন্ন জায়গার জন্য দলিলে, আবেদনপত্রে, অফিসের ডকুমেন্টে স্বাক্ষরের ব্যবহার ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু করে। সেলফির এই দুনিয়ায় সেইসময় মানুষ বিখ্যাত ব্যাক্তিদের অটোগ্রাফ নিতো।

১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ “UNCITRAL MODEL” প্রকাশ করে। এর মধ্যে ই-কমার্সের জন্য আইন তুলে ধরা হয়। এই আইন পুরো বিশ্বের ডিজিটাল স্বাক্ষরের ব্যবহারের উন্নতির জন্য অনেক প্রভাব ফেলে। ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন ডিজ়িটাল স্বাক্ষরতা আইনে স্বাক্ষর প্রদান করে। এর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরের স্টেটগুলোর মধ্যে ও দেশের বাইরের বানিজ্যে ডিজিটাল চুক্তির বৈধতা চলে আসে। আজ আমরা যে অনলাইন বানিজ্য দেখছি,তার ব্যাপকভাবে প্রচলন কিন্তু ওইসময় থেকেই শুরু হয়। ২০১০ সালে আর জে এস সফটওয়্যার কোম্পানি প্রথম এমন সফটওয়্যার বাজারে আনে যা আপনার স্বাক্ষরকে খুব সহজে তুলে ধরতে পারে এবং সেই স্বাক্ষরকে যেকোনো ডকুমেন্টে ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্রেতা অনলাইনে অর্ডার করলো কোনো পণ্য, তারপর সেটা কোম্পানি আনলো ক্রেতার কাছে, স্বাক্ষর প্রদান করলো। আগে কোনো চিঠি আসলে পিয়ন প্রাপকের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিতো, ব্যাপারটা ঠিক সেরকম।

আর যে এস কোম্পানির সফটয়ার
আর যে এস কোম্পানির সফটয়ার; ছবি : RJS software

কার্যপ্রণালী এবং প্রকার

স্বাক্ষরের ঐতিহ্যবাহী কাজটি হল কোনও ব্যক্তির অনন্য ব্যক্তিগত, অনস্বীকার্য স্ব-পরিচয় এবং সেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত সাক্ষীর শারীরিক প্রমাণ এবং নথির একটি নির্দিষ্ট অংশের শংসাপত্রের প্রমাণ হিসাবে স্থিরভাবে সংযুক্ত করা। উদাহরণস্বরূপ, অনেক ভোক্তা চুক্তিতে স্বাক্ষরের ভূমিকা কেবলমাত্র চুক্তিকারী দলের পরিচয়ের প্রমাণ সরবরাহ করার জন্য নয়, বরং বিবেচনা ও অবহিত সম্মতির প্রমাণ সরবরাহও। অনেক দেশে স্বাক্ষর সাক্ষ্যদাতা হতে পারে এবং অতিরিক্ত আইনি শক্তি বহন করার জন্য একটি নোটারী পাবলিকের উপস্থিতিতে রেকর্ড করা যেতে পারে। আইনি নথিগুলিতে, নিরক্ষর স্বাক্ষরকারী একটি “চিহ্ন” তৈরি করতে পারে (প্রায়শই একটি “এক্স” তবে মাঝে মাঝে ব্যক্তিগতকৃত প্রতীক), যতক্ষণ নথিটি সাক্ষর সাক্ষীর দ্বারা পাল্টানো থাকে। কিছু দেশে নিরক্ষর লোকেরা লিখিত স্বাক্ষরের পরিবর্তে আইনি দলিলগুলিতে একটি আঙুলের ছাপ রাখেন।

আঙুলের ছাপ
আঙুলের ছাপ ; ছবি : medicinenet

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, স্বাক্ষর চিহ্ন এবং সমস্ত প্রকারের ক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে যা পরিচয় এবং অভিপ্রকাশের পরিচায়ক। আইনি নিয়ম হল যদি কোনও সংবিধি স্বাক্ষর তৈরির জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্দিষ্ট করে না দেয় তবে এটি কোনও কোনও উপায়ে তৈরি করা যেতে পারে। এর মধ্যে যান্ত্রিক বা রাবার স্ট্যাম্প ফ্যাসিমাইল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্বাক্ষর তৈরি করা স্বাক্ষরকারী দ্বারা তৈরি করা যেতে পারে; বিকল্পভাবে স্বাক্ষরকারী কর্তৃক যথাযথভাবে অনুমোদিত অন্য কেউ স্বাক্ষরকারীর উপস্থিতিতে এবং স্বাক্ষরকারীর নির্দেশে কাজ করে স্বাক্ষর তৈরি করতে পারে।

বিস্তৃত আরোহী, বংশধর এবং বহিরাগত বিকাশসহ অনেক ব্যক্তির স্বাভাবিক বক্রলিপি রচনার চেয়ে অনেক বেশি কল্পিত স্বাক্ষর রয়েছে, যা ক্যালিগ্রাফিক লেখায় যেমন পাওয়া যায়। উদাহরণ হিসাবে, জন হ্যানককের মার্কিন স্বাতন্ত্র্যের ঘোষণাপত্রের বিখ্যাত স্বাক্ষরটির চূড়ান্ত “কে” তার নামটি আন্ডার করে রেখেছে। এই জাতীয় সমৃদ্ধি একটি প্যারাফ হিসাবেও পরিচিত।

অনলাইন ব্যবহার

ই-মেইল এবং নিউজ গ্রুপের ব্যবহারে, অন্য ধরনের স্বাক্ষর উপস্থিত থাকে যা কারও ভাষা থেকে পৃথক। ব্যবহারকারীরা তাদের বার্তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার জন্য স্বাক্ষর ব্লক হিসাবে পরিচিত শৈলীকৃত পাঠ্যের এক বা একাধিক লাইন সেট করতে পারেন। এই পাঠ্যে সাধারণত একটি নাম, যোগাযোগের তথ্য এবং কখনও কখনও উদ্ধৃতি এবং আসকি শিল্প অন্তর্ভুক্ত থাকে । একটি স্বাক্ষর ব্লকের একটি সংক্ষিপ্ত রূপ, কেবলমাত্র কারো নামসহ, প্রায়শই কিছু বিশিষ্ট উপসর্গসহ, কোনও পোস্ট বা প্রতিক্রিয়ার সমাপ্তি নির্দেশ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু ওয়েব সাইট গ্রাফিক্স ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। তবে লক্ষ্য করুন, এই ধরনের স্বাক্ষর বৈদ্যুতিক স্বাক্ষর বা ডিজিটাল স্বাক্ষরের সাথে সম্পর্কিত নয়, যা আরও প্রযুক্তিগত এবং মানুষের দ্বারা সরাসরি বোধগম্য নয়। উইকিপিডিয়ায়, স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা সম্পাদিত একটি অনলাইন উইকি-ভিত্তিক এনসাইক্লোপিডিয়াতে, অবদানকারীরা তাদের ব্যবহারকারীর নাম দিয়ে আলাপ পৃষ্ঠাগুলিতে তাদের মন্তব্যগুলিকে “স্বাক্ষর” করেন (কেবলমাত্র ব্যবহারকারীর নাম ধারক তাদের স্বাক্ষর ডিজিটালভাবে সংযুক্ত করার অধিকার রাখে)।

অন্যান্য ব্যবহার

শিল্পের মূল্যায়নে পেইন্টিং বা শিল্পের অন্যান্য কাজের স্বাক্ষর বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও চিত্রের মান বাড়ানোর জন্য কখনও কখনও নকল স্বাক্ষর যুক্ত করা হয়, বা এর সত্যতা সমর্থন করার জন্য একটি নকল পেইন্টিংয়ে যুক্ত করা হয়। একটি কুখ্যাত ঘটনা ছিল আর্ট-ফোরজার হান ভ্যান মেগেরেনের তৈরি নকল “সাপার এট এম্মাস”-এ জোহানেস ভার্মিরের স্বাক্ষর। তবে, চিত্রকরদের স্বাক্ষর প্রায়শই সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় (বিশেষত আধুনিক ও সমসাময়িক সময়কালে) বিষয়টি জটিল হতে পারে। কিছু চিত্রশিল্পীর স্বাক্ষর একটি শৈল্পিক রূপ ধারণ করে যা জালিয়াতি নির্ধারণে কম মূল্যের হতে পারে।

ভার্মির স্বাক্ষর
ভার্মির স্বাক্ষর ; ছবি : wikimedia

“স্বাক্ষর” শব্দটির অর্থ যা কোনও বস্তু দেয় বা একটি টুকরো তথ্য দেয় এমন বৈশিষ্ট্যগুলিও বোঝানো হয়, এর পরিচয় উদাহরণস্বরূপ, কোকাকোলা বোতলটির আকার। রক মিউজিক এবং ভারী ধাতব সংগীতে, বৈদ্যুতিক গিটারিস্টগুলি তাদের গিটার অ্যাম্পে বিশেষ সেটিংস ব্যবহার করে, তাদের ইউনিট এবং গিটার পিকআপগুলিতে পরিবর্তন যা তাদের “স্বাক্ষর শব্দ” বলে অভিহিত করে একটি স্বতন্ত্র সুর এবং শব্দ বিকাশ করে। যেমন কুস্তি ডাব্লিউডাব্লিউই এর, কুস্তিগীরদের স্বাতন্ত্র্যসূচক “স্বাক্ষর” জন্য পরিচিত হয়। গল্ফ কোর্সে, একটি “সিগনেচার হোল” হ’ল সর্বাধিক নান্দনিকভাবে আনন্দদায়ক এবং ফটোজেনিক গর্ত, যা একটি নির্দিষ্ট কোর্সকে অনন্য করে তোলে। উপমা অনুসারে, “স্বাক্ষর” শব্দটি কোনও প্রক্রিয়া বা জিনিসের বৈশিষ্ট্যগত প্রকাশকে বোঝাতে ব্যবহৃত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ENSO বা এল নিনো নামে পরিচিত জলবায়ু ঘটনাটির বিভিন্ন সমুদ্র অববাহিকায় বৈশিষ্ট্যগত মোড রয়েছে যা প্রায়শই আইসি কলিয়ার “স্বাক্ষর” হিসাবে অভিহিত হয়। স্বাক্ষরকারী একটি পক্ষকে একটি চুক্তির দিকে নির্দেশ করে, বিশেষত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি বা কনভেনশন, যেমন ব্রাজিল হল জৈবিক বৈচিত্র্য বিষয়ক কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী।

ইউনিফর্ম বাণিজ্যিক কোড

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিফর্ম কমার্শিয়াল কোড ১-২০১ (৩৭) সাধারণত স্বাক্ষরিত সংজ্ঞাকে ব্যাখ্যা করে “কোনও লেখা গ্রহণ বা গ্রহণের জন্য বর্তমান অভিপ্রায় কার্যকর সম্পাদিত বা গৃহীত কোনও প্রতীক ব্যবহার করে” হিসেবে। আলোচ্য সরঞ্জামগুলির জন্য অভিন্ন বাণিজ্যিক কোড §৩-৪০১ (খ) এ বলেছে “স্বাক্ষর (১) ম্যানুয়ালি বা কোনও ডিভাইস বা মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করা যেতে পারে, এবং (২) বাণিজ্য বা ধরে নেওয়া সহ যে কোনও নাম ব্যবহার করে বা কোনও শব্দ, চিহ্ন, বা চিহ্ন দ্বারা সম্পাদিত বা প্রতীক যা কোনও লেখার প্রমাণীকরণের জন্য বর্তমান অভিপ্রায় সহকারীর দ্বারা গৃহীত হয়। ”

বর্তমানে আমরা স্বাক্ষরতার ব্যবহার সব জায়গায় দেখতে পাই। এই ধরুন আপনি যখন স্কুল, কলেজে ভর্তি হলেন তখন আপনার বাবা-মা এর স্বাক্ষর। ভোটার আইডি কার্ড থেকে শুরু করে পাসপোর্টে, এমনকি আপনি ভার্সিটির ভর্তির পরীক্ষা বা চাকরীর পরীক্ষা দিবেন, সেই পরীক্ষার প্রবেশপত্রে কিন্তু আপনার স্ক্যান করা স্বাক্ষর থাকতেই হবে (যদিও গুটিকয়েক সংস্থায় এরকম চালু হয় নি)। যাই হোক, দেখলেন তো স্বাক্ষরতার গুরত্ব, ব্যবহার আর ইতিহাস। আজকের এই দুনিয়ায় আপনি স্বাক্ষর জানেন মানেই আপনি নিরক্ষর নন বলে ধরা হয়। বলতে গেলে, স্বাক্ষরতা শিক্ষিতদের একটি পরিচয় ।

সূত্র: উইকিপিডিয়া, জীবন্ত জীবন

Related posts

রাউফুন বসুনিয়া, মনে রেখেছি কি তারে?

News Desk

বাংলাদেশের ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠী – বৈচিত্র্যের এক অনন্য উপাখ্যান

News Desk

১৫ আগস্ট ঢাবিতে ভাষণ দেওয়ার কথা বঙ্গবন্ধুর

News Desk

Leave a Comment