Image default
বাংলাদেশ

সোহেল–রওশন দম্পতির ভালোবাসা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরও নজর কেড়েছে

শারীরিক প্রতিবন্ধী রওশন আক্তার প্রায় ১৫ বছর ধরে স্বামী সোহেল মিয়ার পিঠে চড়েই বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন। বিয়ের আগে তাঁকে কেউ বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতেন না। এই দম্পতিকে নিয়ে সম্প্রতি প্রথম আলোসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নজরে এসেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ময়মনসিংহের ত্রিশালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান সোহেল-রওশন দম্পতির বাড়ি ঘুরে এসেছেন। এই দম্পতির চাহিদা বা প্রয়োজনগুলো ইউএনও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নজরে আসার পর বিষয়টির খোঁজ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে বলা হয়। এরপর সরেজমিনে তাঁদের বর্তমান অবস্থা জানতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের নির্দেশে ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন ইউএনও।

ছয় বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে ত্রিশালের রওশন আক্তারের দুই হাঁটুর নিচ থেকে অবশ হয়ে যায়। তখন থেকেই হাঁটাচলা প্রায় বন্ধ তাঁর। দুই হাতে স্যান্ডেল পরে হামাগুড়ি দিয়ে কিছুটা চলতে পারেন।

বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে ইউএনও মো. আক্তারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই দম্পতির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলায় তিনি এই দম্পতির বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সার্বিক অবস্থা জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে।

মুঠোফোনে সোহেল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দুই স্যার ফোনে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিসি স্যারও কথা বলেছেন। পরে ইউএনও স্যার বাড়িতে এসেছিলেন। মেয়ের জন্য দামি চকলেট, মিষ্টি, আমাদের জন্য ফুল নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের প্রয়োজন জানতে চেয়েছেন। টয়লেটসহ ঘর করে দিলে রওশনের জন্য ভালো হবে। পুঁজিসহ স্থায়ী দোকানের ব্যবস্থা করে দিলে চলতে সুবিধা হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় জানিয়েছি স্যারকে। এই সময় চেয়ারম্যানসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।’

Related posts

১০ লিটারে পৌনে ১ লিটার কম, ২ পেট্রল পাম্পকে জরিমানা

News Desk

হাসপাতালে সিন্ডিকেট, জিম্মি রোগীরা

News Desk

গাড়ির ইঞ্জিন থেকে চলন্ত বাসে লাগলো আগুন

News Desk

Leave a Comment