Image default
বাংলাদেশ

সীমান্তে জরুরি রোগী ছাড়া হাসপাতালে নয় : স্বাস্থ্য অধিদফতর

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ক্রমান্বয়ে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় সীমান্তের হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া অন্যান্য সাধারণ রোগ নিয়ে হাসপাতালে না আসার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রোববার (৬ জুন) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এই নির্দেশনার বিষয়ে জানান।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ধীরে ধীরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ঊর্ধ্বমুখী এই সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সব সীমান্ত এলাকার হাসপাতালে আসনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ছাড়া কোনো রোগী যেন ভর্তি না করা হয় এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দরকার হলে সম্পূর্ণ হাসপাতাল করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল করে দেওয়া হবে।’

গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহী বিভাগের বেশ কিছু জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে আক্রান্তদের অধিকাংশই ভারতীয় বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের শিকার বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

রোবেদ আমিন বলেন, সীমান্তবর্তী যেসব এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে, সেগুলোকে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে ইমারজেন্সি ছাড়া যেন কোনো রোগী হাসপাতালগুলোতে না থাকে। এক্ষেত্রে সাধারণ শয্যায় থেকে করোনা রোগীরা সেবা নিতে পারবেন। অক্সিজেনের সংকট নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই অবগত আছি সংক্রমণ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমরা সবাই শঙ্কিত আছি। যেসব রোগীর শ্বাসকষ্ট আছে, বুকে ব্যাথা এবং কোনো কারণে অত্যন্ত দুর্বলতা অনুভব করছেন তারা যেন হাসপাতালে আসে; আর যাদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই তারা যেন হাসপাতালে এসে অযথাই ভিড় না জমায়। তাহলে যা অক্সিজেন আছে এটা দিয়েই সব রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশে করোনা সংক্রমণ ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম, এখন আবার সেটি বাড়তে শুরু করেছে। ৩০ মে থেকে যদি হিসাব করা হয়, এখন পর্যন্ত সংক্রমণ কিন্তু ওঠানামা করছে। কখনো বা সংক্রমণ ৯ থেকে ১০ শতাংশেও চলে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা এখনো বলতে পারছি না আমাদের সংক্রমণ কমে গেছে। এখনো সংক্রমণ আনস্টেবল (ভারসাম্যহীন) রয়েছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের () এক গবেষণায় দেখা গেছে এখন যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের শতকরা ৮০ শতাংশই ভারতীয় ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে এ তথ্য জানিয়েছে। গবেষণা করা ৫০টির মধ্যে ৪০টির নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা এবং একটি অজ্ঞাত ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১৬ নমুনায় ১৫টি, ঢাকার ৪টি নমুনার ২টি ও গোপালগঞ্জ থেকে ৭ নমুনার সবকটিই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ আসা সাত জনের দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।

Related posts

৭০ বছরেও স্বীকৃতি পাননি চাঁদপুরের ৪০ ভাষা সংগ্রামী

News Desk

চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে

News Desk

লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই: শিক্ষামন্ত্রী

News Desk

Leave a Comment