Image default
বাংলাদেশ

লোকসানে গরু বিক্রি করবো নাকি?

ঈদুল আজহা উপলক্ষে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। শহরের ট্রাক টার্মিনালের একমাত্র হাটটিতে এবার কোরবানিযোগ্য প্রচুর পশু এসেছে। ক্রেতার সমাগমও বেশ ভালো। তবে গরুর দাম গতবারের চেয়ে অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে অভিযোগ ক্রেতাদের। অন্যদিকে গোখাদ্য এবং পশু পালনের খরচ বাড়ায় গরুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এদিকে বিভিন্ন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক মুখে চলতে দেখা যায়নি। 

ট্রাক টার্মিনালের পশুরহাটের ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার গরুর দাম অনেক বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা। 

ক্রেতা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘গরু কিনতে এসে পুরো হাট ঘুরে দেখলাম। গেলো বছরের তুলনায় প্রতিটি গরুই ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি মনে হচ্ছে। আরও সময় আছে দেখি কি করা যায়।’

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দামসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি চাইতে হচ্ছে। দর কষাকষির পর পছন্দের গরু নিতে পেরে খুশি ক্রেতারা।

বিক্রেতা মো. মোতালেব মিয়া বলেন, ‘১ লাখ টাকার গরুর ৬০ হাজার টাকা বলছে ক্রেতারা। লোকসানে গরু বিক্রি করবো নাকি?’

বৃহস্পতিবার হাট ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে নদীপথে বোটে করে এবং সড়কপথে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসছে। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের বিপুল সংখ্যক গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন। তবে ক্রেতাদের মাঝারি ধরনের পশুর চাহিদা বেশি ।

রাঙামাটি ট্রাক টার্মিনালের পশু হাটের ইজারাদার মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বাজারে অনেক গরু উঠেছে। ক্রেতাদেরও উপচেপড়া ভিড় আছে।’

এদিকে জেলার প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, এ বছর কোরবানির জন্য রাঙামাটি জেলার পশুর চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও কোরবানির পশু নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। 

রাঙামাটি জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বরুন কুমার দত্ত বলেন, প্রতিটি পশুর হাটে ভেটেনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। হাটে অসুস্থ পশু কেউ নিয়ে আসছে কিনা অথবা হাটের কোনও পশু অসুস্থ হচ্ছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে পশু কোরবানি দেওয়ার পর পশু চামড়া রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মামুন বলেন, প্রশাসনের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব না। হাটে প্রতিদিন চারটি মোবাইল টিমের মাধ্যমে মাস্ক পরিধানের বিষয়টি সচেতন করা হচ্ছে। মোবাইল টিম চলে গেলে মানুষ আবার উদাসীন হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকেও নিজ পরিবারের জন্য হলেও সচেতন হওয়া উচিত।

 

Source link

Related posts

পটুয়াখালীতে কালবৈশাখী ঝড়ে দুজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

News Desk

চট্টগ্রাম স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

News Desk

দেশ ও জাতির করোনা থেকে মুক্তির জন্য ঈদের নামাজের পর বিশেষ দোয়া

News Desk

Leave a Comment