আজ বুধবার মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গতবারের মতো এবারও বিধিনিষেধের মধ্যে ঈদ উদযাপন করছে মুসলিমরা। ঈদকে ঘিরে মুসলমানদের যে আনন্দ ও প্রাণচঞ্চলতা থাকে সেই আনন্দ যেন ম্লান করে দিয়েছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি পেতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার নামাজের পর বিশেষ দোয়া করা হয়েছে। পাপ মোচন ও মহামারি মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে অশ্রু বিসর্জন দিয়ে ফরিয়াদ জানিয়েছেন মুসল্লিরা।
সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয় ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান জামাত। প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। এর পর দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটায় এবং তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৯টায়।
ঈদের দুই রাকাত নামাজের পর বিশেষ খুতবা পড়েন ইমাম। খুতবা শেষে আল্লাহর কাছে পাপ মুক্তি ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে মোনাজাত করা হয়।
ঈদের নামাজের প্রথম ও প্রধান জামাত শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘হে আল্লাহ আপনি আমাদের সব মুসলিম উম্মাহকে মাফ করে দিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সঠিকভাবে দেশ পরিচালনার জন্য সুস্বাস্থ্য দান করুন। বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন। বিশ্বমানবতাকে রক্ষা করুন। কঠিন এ করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন মাওলা। আপনার খাস রহমত নাজিল করুন।’
মোনাজাতে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চান মুসলমানরা। এ সময় ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় জাতীয় মসজিদ।
বুধবার সকাল ৬টা থেকেই জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদের পথে রওনা হন মুসল্লিরা। করোনার কারণে অনেকেই দূরত্ব বজায় রেখে নামাজে দাঁড়ান। বায়তুল মোকাররমে নামাজের সময় নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করেন। ব্যাগ নিয়ে আসা মুসল্লিদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নামাজের পর কোলাকুলিও করেনি অনেকে।