Image default
বাংলাদেশ

বেনাপোলে পণ্যজট : খালাসের অপেক্ষায় কয়েকশ’ ট্রাক

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বেড়ে যাওয়ায় জায়গা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে দেখা দিয়েছে তীব্র পণ্যজট। খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক। বন্দরে দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা।

বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, এই স্থলবন্দরের ৩৪টি গুদাম ও আটটি ইয়ার্ড, দুটি ট্রাক টার্মিনাল ও একটি রফতানি টার্মিনাল রয়েছে। কোথাও কোনও জায়গা খালি নেই। তীব্র পণ্যজট। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরের গুদামের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পণ্য আমদানি হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরে যে শেডগুলো আছে সেখানে মালামাল রাখার ধারণক্ষমতা বাস্তবে ৫৯ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু বর্তমানে দুই লাখ মেট্রিক টন মালামাল হ্যান্ডলিং হয়। যে কারণে ভারত থেকে আসা ট্রাকগুলো বন্দরে ৮-১০ দিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। বেনাপোল স্থলবন্দরে ১৭৫ একর জমি অধিগ্রহণপূর্বক সেখানে কমপক্ষে ৩০টি নতুন শেড, হেভি স্টক ইয়ার্ড, কোল্ড স্টোর নির্মাণ জরুরি। তাই এখনই বন্দর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, আট থেকে দশ দিন পর্যন্ত ভারতীয় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। বন্দরের জায়গার মারাত্মক সংকট থাকায় গাড়িগুলোকে অলস দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে বন্দরের জায়গা সংকটসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাস্তবায়নে, একাধিকবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়সহ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দরে ট্রেন সার্ভিস চালু হওয়ায় (সাইড ডোর) এবং কনটেইনারের মাধ্যমে মালামাল আসছে, যা হেডলোডে বন্দরে আনলোড হচ্ছে। এছাড়া কমলাপুরের মতো কনটেইনার অপারেশন খুব শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে। তাই জায়গা অধিগ্রহণসহ অবকাঠামোগত দিকগুলো উন্নয়ন করা দরকার।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় পণ্য আমদানি-রফতানি কয়েকগুণ বেড়েছে। স্থলবন্দরে পণ্যের ধারণক্ষমতা ৫৯ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু সেখানে দ্বিগুণের বেশি পণ্য রাখা হচ্ছে। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে আবার গতি ফেরায়, আমদানি-রফতানিও বেড়েছে। রেলপথেও প্রচুর পণ্য আসছে। এ কারণে পণ্য রাখার স্থান সংকুলান করা যাচ্ছে না। এতে বন্দরে শেড-ইয়ার্ড সংখ্যাও বাড়াতে হবে। জায়গা অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়াটি শেষ পর্যায়ে। অধিগ্রহণকৃত জায়গায় শিগগিরই ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এপর বন্দরের পণ্যজটের সংকট অনেকটা কেটে যাবে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু সে অনুপাতে রাজস্বের উৎস বাড়ছে না। এতে প্রতিবছরই দেখা দিচ্ছে রাজস্ব ঘাটতি। বন্দরের জায়গা বৃদ্ধির জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।

Source link

Related posts

হাটে ছাগল আছে ক্রেতা নেই

News Desk

২০ মে থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ

News Desk

সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি

News Desk

Leave a Comment