Image default
বাংলাদেশ

বাজেট প্রস্তাবের পর শেয়ারবাজারে রেকর্ড লেনদেন

জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর রোববার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক কমেছে। তবে বেড়েছে অপর দুই সূচক। সেই সঙ্গে সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর হার কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

কালো টাকার বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছুই বলেননি অর্থমন্ত্রী। এ কারণে ধরে নেয়া হচ্ছে চলতি অর্থবছর মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের যে সুযোগ দেয়া হয়, তা আগামী অর্থবছর থাকবে না। ফলে আগামী ৩০ জুনের পর শুধু ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে না।

অর্থমন্ত্রী নতুন বছরের প্রস্তাবিত বাজেট দেয়ার পর আজ ছিল শেয়ারবাজারের প্রথম কার্যদিবস। এদিন লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। প্রথম ১৪ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে যায়।

পরে সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও তা শেষ পর্যন্ত টেকেনি। লেনদেনের শেষ দিকে এসে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৮ পয়েন্টে নেমে গেছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২২২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বাড়লেও দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ২০১টির। ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

অবশ্য বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ডিএসইতে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩৮ টাকা, যা ১০ বছর ৬ মাস বা ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর ডিএসইতে ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।

রেকর্ড এই লেনদেনের দিনে টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ২৯৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইফাদ অটোসের ৬১ কোটি ২৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রূপালী ইন্স্যুরেন্স, রবি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, এসএস স্টিল এবং সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৪৩টির দাম কমেছে এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Related posts

লকডাউন-সংক্রমণ ঝুঁকি-ভোগান্তি সত্ত্বেও ছুটছে মানুষ

News Desk

‘টয়লেটের পর সাবান ব্যবহার করেন না প্রজেক্ট হিলসার বাবুর্চিরা’

News Desk

কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরো ৭ দিন

News Desk

Leave a Comment