বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল রোববার সকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগে ৬১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৮১। এর আগের দিন বিভাগে ৫১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ২৪ দশমিক ৯০। ওই দিনও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বরিশাল জেলার সর্বোচ্চ ৪৭ জন আছেন। এ ছাড়া পটুয়াখালীতে ১৩ জন, ভোলায় ২৩, বরগুনায় ১৫, পিরোজপুরে ৯ ও ঝালকাঠিতে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের ৫ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে করোনায় ও উপসর্গে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শূন্য। তবে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে উপসর্গ নিয়ে ১৩ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বিভাগে করোনার তৃতীয় ঢেউ চূড়ায় পৌঁছায়। ওই সময় থেকে জানুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত বিভাগে করোনা সংক্রমণ ৫০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। এরপর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে তা ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হচ্ছে। ১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত বিভাগে ৬ হাজার ৫২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে শুরুতে মৃত্যুর সংখ্যা কম ছিল। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করলেও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপপরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই সংক্রমণের হার ও সংখ্যা অনেকটা কমেছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বিভাগে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগের বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে গেছে। তাঁরা সবাই বার্ধক্যজনিত ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগে ভুগছিলেন। এ জন্য পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য আরও যত্নশীল হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
