সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পটুয়াখালীর গলাচিপায় পশুরহাট বাসানো হয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) সকালে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের নলুবাগীতে হাট বসানো হলে দুপুরের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশিষ কুমার সেটি বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে এখানে পশুরহাট বসে বিরামহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। শুক্রবার সরকারি নির্দেশনা না মেনে তিনি হাট বসিয়ে গরু-ছাগল ও মহিষ বিক্রি শুরু হয়। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাট বন্ধ করে দেন।
ইকবাল ফরাজি নামে এক ক্রেতা বলেন, ৬০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছি। ইজারাদার ৬০০ টাকা হাসিল রেখেছে। এছাড়া বিক্রেতার কাছ থেকেও ২০০ টাকা রেখেছে। তবে কোনো রশিদ দেয়নি।
নলুয়াবাগী পশুরহাটে পক্ষিয়া থেকে গরুর বিক্রি করতে আসা রমিজ মিয়া বলেন, এ হাটে গরু বিক্রি করলে ইজারাদারকে ২০০ টাকা দেয়া লাগে। আর গরু কিনলে লাগে ৬০০ টাকা। আজ পর্যন্ত ইজারাদার কোনো রশিদ দেয় নি।
স্থানীয় মহিষ বিক্রেতা মো. মোশাররফ প্যাদা বলেন, সকাল থেকে হাট শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। হাটে প্রতি মহিষ ক্রেতার কাছ থেকে ৮০০ আর বিক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা হাসিল আদায় করে ইজারাদার। তাতে কোনো রশিদ দেয়া হয় না। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ঘটনাস্থলে গিয়ে হাটটি বন্ধ করে দেন।