Image default
বাংলাদেশ

গত ৪ মাসে বজ্রপাতে ১৭৭ মৃত্যু

দেশে বজ্রপাতে প্রাণহানি বাড়ছেই। চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত চার মাসে সারাদেশে বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৭ জন। বজ্রপাতে হতাহতের হিসাবে নতুন হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালাপুর, নেত্রকোণা ও চট্টগ্রামে বজ্রাঘাতে প্রাণহানি বেড়েছে। শুক্রবার (১১ জুন) সামাজিক সংগঠন ‘সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম-এসএসটিএএফ’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এসএসটিএএফ জানায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন মাসে বজ্রপাতে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪৯ ও নারী ২৮ জন। তাদের মধ্যে শিশুর ১৩ জন, কিশোর ৬ ও কিশোরী ৩ জন। মৃত্যুর পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন ৪৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ ও নারী ৭ জন। সামাজিক সংগঠনটির তথ্যানুযায়ী- গত ৪ মাসে শুধু কৃষিকাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতের আঘাতে প্রাণহানি হয়েছে ১২২ জনের। আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা গেছে ১৫ জন। ঘরে অবস্থানকালেও বজ্রপাতে ১০ জন মারা গেছেন। এছাড়া নৌকায় মাছ ধরার সময় ৬ জন, মাঠে গরু আনতে গিয়ে ৫ জন, মাঠে খেলার সময় ৩ জন, বাড়ির আঙিনায় বা উঠানে ৬ জন, ভ্যান/রিকশা চালানোর সময় ২ জন এবং গাড়ির ভেতরে অবস্থানের সময় ১ জনের মৃত্যু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে হতাহতের কোনো ঘটনা না থাকলেও মার্চ মাসের শেষদিক প্রাণহানির ঘটনা শুরু হয়। চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মারা গেছেন ৬৫ জন। সংগঠনটি জানায়, চলতি বছর বজ্রপাতের নতুন হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ। এ জেলায় চলতি বছরের মে এবং জুন মাসেই মারা গেছেন অন্তত ১৮ জন। এছাড়া চলতি বছরের চার মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জন, জামালপুরে ১৪ জন, নেত্রকোণায় ১৩ ও চট্টগ্রামে ১০ জন মারা গেছেন।

সংগঠনের কেস স্টাডি বলছে, গত ৬ জুন বিকেলে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার লোহাচড়া গ্রামে বৃষ্টির সময় বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল আশরাফি খাতুন (১০) ও মহসিনা খাতুন (১২) নামের দুই শিশু। স্থানীয়রা জানান, ওইদিন দুপুরের পর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। বিকেলে বৃষ্টি শুরু করে। সঙ্গে চলে প্রচণ্ড মেঘের গর্জন। এসময় ওই দুই বোন বাড়ির আঙিনায় বৃষ্টিতে ভিজতে বের হয়। পরে বাড়ির পাশে গাছ থেকে আম পড়ার শব্দ পেয়ে আম কুড়াতে গেলে বজ্রঘাতে শিশু দু’টি মারা যায়। বজ্রপাতে তাদের শরীর ঝলসে যায়।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় বাড়ির উঠানে বজ্রপাতে তামান্না আক্তার (১৫) ও তার চাচাতো ভাই আল-আমিন (৬) মারা যায়। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির সময় এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাওয়ার সময় তারা দুইজন বজ্রপাতে আহত হন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংগঠনটি জানায়, বজ্রপাতে হতাহতের এ পরিসংখ্যান করা হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও টেলিভিশনের স্ক্রল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।

সূত্র : জাগো নিউস 24

Related posts

কুমিল্লায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

News Desk

চুয়াডাঙ্গায় পাওনাদারকে ফাঁসাতে অপহরণের নাটক

News Desk

নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পথে তারা হাঁটছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

News Desk

Leave a Comment