Image default
বাংলাদেশ

ইতিহাস সৃষ্টি করলেন প্রধানমন্ত্রী

ইতিহাস সৃষ্টি করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) একযোগে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন তিনি। বিশ্বে এই প্রথম কোনো সরকার প্রধান নিজস্ব পরিকল্পনায় বড় বাজেটে এতগুলো অবকাঠামো নির্মাণ করলেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে সারাদেশে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে। যার ব্যয় ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা।

প্রকল্প পরিচালক নজিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সারাদেশের ৩০টি জেলার ৫০টি উপজেলা সদরে আমরা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। চলতি অর্থবছরে আরও ১০০টি মসজিদ নির্মাণ শেষ হবে। তিনি বলেন, এ ক্যাটাগরিতে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে ৬৯টি, বি ক্যাটাগরিতে উপজেলা সদরে ৪৭৫টি এবং সি ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় ১৬টিসহ মোট ৫৬০ মডেল মসজিদ প্রকল্প চলমান।

নজিবুর রহমান জানান, এর মাধ্যমে বিশ্বের ইতিহাসে নজির স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো মুসলিম বিশ্বেও একযোগে এত মসজিদ নির্মাণের নজির নেই।বুধবার ঢাকার সাভার উপজেলা, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা ও বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা সদরে নির্মিত মডেল মসজিদ পরিদর্শনে দেখা গেছে, আরব বিশ্বের আদলে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদগুলোতে রয়েছে নানা সুবিধা।

এগুলো হলো- নারী-পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম, হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, হজ যাত্রীদের নিবন্ধনসহ প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ও গাড়ি পার্কিং, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা।

সাভার মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইমাম হাফেজ মাওলানা মারুফ বিল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, সাভার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সাভারবাসীর জন্য আশীর্বাদ। এখান থেকে পুরো উপজেলায় ইসলামের মূল মেসেজ প্রচার করা যাবে। বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ মাদরাসা আছে, কেন্দ্র হিসেবে একটা থাকার দরকার ছিল। এখন এটি সে হিসেবে ব্যবহার হবে। উপজেলায় সেন্ট্রাল হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সাভার উপজেলার তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা আবু সাইদ জাগো নিউজকে বলেন, সবচে বড় কথা হচ্ছে এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদের মাধ্যমে মানুষ নামাজে আকৃষ্ট হবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বাল্যবিয়ে রোধে ভালো ভূমিকা রাখা যাবে।

সাভারের হেমায়েতপুর মশুরিখোলার শিক্ষক মাওলানা মনিরুজ্জামান বলেন, এখানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও নামাজ পড়তে পারবেন। যেটা আমাদের বাংলাদেশে আগে ছিল না। এর মধ্য দিয়ে নারীদের অধিকার নিশ্চিত হবে। স্থানীয় মুসল্লি বদিউজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, এটি ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য বড় সেবা। আমরা এমন সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মসজিদ বিদেশে দেখেছি। বাংলাদেশেও এটি হয়েছে, সত্যিই গর্বের। মুসল্লিরা বলছেন, বড় খরচে অনেক বড় স্থাপনা হয়েছে দেশে। এটির যথাযথ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে।

Related posts

‘বীর বাহাদুরকে’ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আশিকুর

News Desk

হিলি দিয়ে ঢুকছে অবৈধ পণ্য

News Desk

সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলছে ছয় শতাধিক যান, মাসে ১০ লাখ টাকা ‘চাঁদাবাজি’

News Desk

Leave a Comment