Image default
বাংলাদেশ

আড়তে তরমুজের স্তূপ, ক্রেতা কম

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়েছে নগরের তরমুজের বাজারে। তরমুজের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে তরমুজের ক্রেতা কমে গেছে। এজন্য বেশি দামে কেনা তরমুজ অর্ধেক দামেও বিক্রি করতে পারছেন না তারা।

বুধবার (১১ মে) সরেজমিন নগরের ফিরিঙ্গিবাজারে অবস্থিত তরমুজের বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি আড়তেই তরমুজের স্তূপ। তবে অধিকাংশই ক্রেতাশূন্য। বেশি দামে তরমুজ কিনে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ফিরিঙ্গি বাজার এলাকায় অবস্থিত শাহ মোহছেন আউলিয়া ফার্ম নামে একটি তরমুজের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে গুদামভর্তি তরমুজ, তবে ক্রেতা কম। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক নুরুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়েছি। এগুলো বেশি দামে খামারিদের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল। যে দামে কেনা তার অর্ধেক টাকায়ও বিক্রি করা যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে যেগুলো কেনা হচ্ছে সেগুলো বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে তরমুজ রমজানে ১০০ পিস ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি, বর্তমানে তা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। যেগুলো ১০০ পিস ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করা হতো, সেগুলো এখন ছয় হাজার টাকা এবং যেগুলো ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল, সেগুলো এখন তিন হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।’

একই এলাকার তরমুজের পাইকারি ব্যবসায়ী এয়াকুব সওদাগর জানান, ঈদের পর থেকে তরমুজ বিক্রি কমে গেছে। আগে যেখানে একটি আড়তে দৈনিক দুই-তিন হাজার তরমুজ বিক্রি হতো, সেখানে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে পাঁচ-ছয়শ’ তরমুজ।’

তিনি জানান, ফিরিঙ্গি বাজার ও বিআরটিসি ফলমন্ডি মিলে প্রায় শতাধিক তরমুজের আড়তদার রয়েছেন। যাদের কাছে প্রতিদিন ৩৫-৪০টি ট্রাকে তরমুজ আসে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা, ভোলা ও নাটোর থেকে চট্টগ্রামে তরমুজ আসে।

ফিরিঙ্গি বাজার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘একেকটি আড়তে রমজানের পর সাত-আটটি ট্রাকে তরমুজ আনা হয়েছে। আগেই এগুলোর টাকা দেওয়া ছিল। এ কারণে প্রতিটি ট্রাকে এক থেকে দেড় লাখ টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফিরিঙ্গি বাজার এবং বিআরটিসি এলাকায় শতাধিক তরমুজের আড়তদার আছেন। সব মিলিয়ে এখানকার আড়তদাররা গত এক সপ্তাহে সাত থেকে আট কোটি টাকা লোকসান গুনেছেন। তরমুজের বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রাম। এখান থেকেই বৃহত্তর চট্টগ্রামের খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য তরমুজ কিনে থাকেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুলনা-সাতক্ষীরা থেকে আসা প্রতিটি ট্রাকের জন্য ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। আবার ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয় দুই থেকে তিন দিন। তবে এখন কৃষকরাও অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে চট্টগ্রামে রমজানের পর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে তরমুজের ক্রেতা অনেক কমেছে। ফলে গুদামেই পচে যাচ্ছে তরমুজ।’

 

 

Source link

Related posts

ছয় দিনেও সন্ধান মেলেনি ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হার

News Desk

সড়কে ফসল মাড়াই, দুর্ঘটনার শঙ্কা

News Desk

কটূক্তির প্রতিবাদ করায় শিশুকে হত্যা

News Desk

Leave a Comment