ঈদ বাজারে নানা অফার দিয়েও তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে মিলছে না ক্রেতা। আশানুরূপ ক্রেতা না হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন দোকান মালিকরা। করোনা সংক্রামণের ভয়ে মার্কেটে না এসে ঘরে বসেই অনেকে অনলাইনে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।
মিরপুর ২ নম্বরে বিভিন্ন ব্যান্ডের তৈরি পোশাকের শো রুমগুলোতে ঈদের দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যেত। অথচ বর্তমানে এসব দোকানে ২০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ের অফার দিলেও পর্যাপ্ত ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে আবার ক্রেতা টানতে একটা কিনলে একটা ফ্রি দিতেও দেখা গেছে।
সুমাইয়া নামে এক ক্রেতা জানান, পরিবারের সকলের জন্য অনলাইন থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলেছেন। নিজের জন্যও অনলাইন থেকে অনেক কিছু কিনেছেন। একটি কাজে বাসার বাইরে বের হওয়ায় এখানে এসে একটি শাড়ি পছন্দ হওয়ায় তা কিনেছেন বলে জানান।
অঞ্জন শাড়ির দোকানে দেখা যায়, ১০-১২ জন ক্রেতা ঘুরে ঘুরে ড্রেস দেখছেন। কাউন্টারে মাত্র একজন দাঁড়িয়ে দাম পরিশোধ করছিলেন।
অঞ্জনসের বিক্রেতা রাব্বি হাসান বলেন, দোকান খুলে দিনের অধিকাংশ সময় ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। প্রতি বছর এ সময়ে যে পরিমাণে পোশাক বিক্রি করা হয় তার ২০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে না। এ জন্য দোকানে কর্মচারী কমানো হয়েছে। প্রত্যাশিত বিক্রি না হলেও ঈদের বেতন-বোনাস পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে বলে জানান।
অনলাইনে এখন অনেকে কেনাকাটা করেন মন্তব্য করে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের নিলয় ফ্যাশনের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘জ্যাম-গরম ঠেলে মার্কেটে আসা লাগে না। তাই অনেক কেনাকাটা করেন অনলাইনে। ঈদ বাজারের চাপ বাড়ে ১৫ রোজার পর থেকে। এবার তেমন চাপ বাড়েনি। আগের বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা কম এসেছে।’