Image default
বাংলাদেশ

নিলামে উঠছে সিইপিজেডের পদ্মা ওয়্যারস

শ্রমিকদের পাওনা বকেয়া রেখে বন্ধ হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (সিইপিজেড) প্রতিষ্ঠান ‘পদ্মা ওয়্যারস লিমিটেড’ অবশেষে নিলামে বিক্রি হবে।

নিলামে বিক্রির টাকায় পরিশোধ করা হবে শ্রমিকদের বকেয়া। নিলাম প্রক্রিয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অথরিটি (বেপজা)। নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ২৪ মে কারখানাটির মালামালের তালিকা ও মূল্য নির্ধারণ (ইনভেন্ট্রি) করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বেপজা নিয়ন্ত্রাধীন চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার পদ্মা ওয়্যারস লিমিটেডে কি পরিমাণ যন্ত্রপাতি আছে সেগুলোর ইনভেন্ট্রি করা হবে আগামী ২৪ মে। ইনভেন্ট্রি শেষে নিলাম প্রক্রিয়ায় বিক্রি করা হবে প্রতিষ্ঠানটি। এ কারখানায় কাজ করা শ্রমিকদের পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা।

এই কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, শ্রমিকদের ৪ বছরের প্রভিডেন্ড ফান্ড, দুই বছরের ইএলও, ঈদের বোনাস, ৫ বছর পরপর সার্ভিস বেনিফিটসহ প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিকের ১৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। ২০১৯ সালের শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সকল পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।

জানা গেছে, গত ৩ মার্চ বেপজা নিয়ন্ত্রাধীন চট্টগ্রাম রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকার পদ্মা ওয়্যারস লিমিটেড লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এর একমাস পর এই কারখানার ১ হাজার ৪২০ জন শ্রমিককে চাকুরীচ্যুত করা হয়। শ্রমিকদের পাওনা টাকা বকেয়া রয়েছে এই বছরের জানুয়ারী মাস থেকেই।

গত ২৯ এপ্রিল শ্রমিকরা বকেয়া বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার সড়ক অবরোধ ও দুপুরে মিছিল করে। পাশাপাশি নগরীর আগ্রাবাদ শ্রম অধিদফতর অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

এরপর গত বুধবার (১৯ মে) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বে-শপিং সেন্টার এলাকায় বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচি পালন করেন এই কারখানার শ্রমিকরা ।

পদ্মা ওয়্যারস লিমিটেডের অপারেটর মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘বেপজার পক্ষ থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে কারখানাটি বিক্রি করে আমাদের টাকা পরিশোধ করবেন। আগামী ২৪ মে ইনভেন্ট্রি করার কথা রয়েছে।’

এই কারখানার শ্রমিক আলী হোসেন বলেন, ‘মালিক পক্ষ কারখানটি বন্ধ হওয়ার আগ থেকে বারবার তারিখ দিয়েও পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি। এখন আবার তারিখ দিচ্ছে, কিন্তু আমরা সেটা মানি না। প্রতিষ্ঠানের লোকজন আসছে। টাকা না পেলে আমরা টানা অনশন কর্মসূচি পালন করে যাব।’

এ বিষয়ে জানতে বেপজার জেনারেল ম্যানেজার খুরশিদ আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নিলাম করে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আগে নিলামে কারখানাটি বিক্রি হতে হবে। এই কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মুলত শ্রমিকদের অর্থ কেউ মেরে খেতে পারবে না। তাদের ন্যায্য পাওনা পুষিয়ে দিতে হবে।’

এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজ করে বেতন পাবে না, এটা হতে পারে না। এতে পোশাক শিল্পের সুনাম ক্ষুন্ন হয়। তাই বেপজা কর্তৃপক্ষ সিইপিজেডের পদ্মা ওয়্যারস লিমিটেডকে নিলাম করে শ্রমিকের বকেয়া পুষিয়ে দিতে চাইছে, এটা ভালো উদ্যেগ। এ কারখানার বিষয়ে বেপজার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।

Related posts

এক পায়ে লিখে এইচএসসি পাস করলেন ফজলু

News Desk

স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরুই হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য: মান্না

News Desk

সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি কমে গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

News Desk

Leave a Comment