২০১৭ সালের পর হোর্হে সাম্পাওলি দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য সেভিয়াতে ফেরেন এ মাসের ৬ তারিখে। সাবেক কোচ ফিরে আসার পর সেভিয়া অপরাজিত ছিল। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সাম্প অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদও সেভিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ৭ ম্যাচে হারেনি।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আজ সাম্পাওলির প্রতিরোধ ভেঙে গেল। একুশ শতকে সেভিয়ার বিপক্ষে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অপরাজিত থাকার যাত্রা অব্যাহত রেখে রিয়াল ম্যাচটি জিতেছে ৩–১ গোলে।
উরুর চোটের কারণে এ ম্যাচে খেলেননি রিয়াল মাদ্রিদের ব্যালন ডি’অর জয়ী স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। তাই বলে গোল পেতে খুব বেশি দেরি হয়নি রিয়ালের। ম্যাচের ৫ মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন লুকা মদরিচ।
বক্সের বাইরে বল পেয়ে সেভিয়ার রাইট–ব্যাক গনসালো মনতিয়েলকে কাটিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে যান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে চারপাশটা একবার দেখে নেন তিনি। অধিনায়ক মদরিচকে জায়গামতো দেখতে পেয়ে স্কয়ার পাস দেন ভিনিসিয়ুস। মদরিচ সহজেই বল জালে পাঠান।
৫৪ মিনিটে স্রোতের বিপরীতে গোল পেয়ে যায় সেভিয়া। নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত যেন করলেন সেভিয়ার রাইট–ব্যাক মনতিয়েল। তাঁর ভুলের কারণেই প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। এবার সেভিয়াকে সমতায় ফেরানো এরিক লামেলার গোলটিতে তিনি অবদান রাখেন অসাধারণ এক পাসে।
হঠাৎই রিয়ালের বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান মনতিয়েল। ডান পায়ের বুটের বাইরের দিক দিয়ে তিনি রক্ষণচেরা পাস দেন বক্সের ভেতরে থাকা লামেলাকে। তিনিও বাঁ পায়ের বুটের বাইরের দিক দিয়ে নেওয়া শটে পরাস্ত করেন রিয়ালের গোলকিপার থিবো কোর্তোয়াকে।
গোল শোধ করে যেন প্রাণ ফিরে পায় সেভিয়া। রিয়ালের রক্ষণে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে তারা। ৫৬ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত সেভিয়া। বক্সের বাইরে বল পেয়ে নাভাসকে খুঁজে নেন লামেলা। নাভাস বক্সের ভেতরে বল দেন রিয়ালের সাবেক খেলোয়াড় ইসকোকে। দুর্ভাগ্যবশত ইসকোর শট নেটের বাইরের দিকে গিয়ে লাগে।