আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের অন্যতম বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছে সৌদি আরব। তাদের আরব্য রূপকথা প্রেরণা জোগাচ্ছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোকেও। বুধবার বিকাল ৪টায় তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। লুকা মদরিচদের বিপক্ষে একই রূপকথার জন্ম দিতে চাইছে আশরাফ হাকিমিরাও।
অবশ্য র্যাঙ্কিংয়ে খুব বেশি পা্র্থক্যও নেই দুই দলের। গত বারের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে ১০ ধাপ পিছিয়ে মরক্কো। খেলেছে ৫টি বিশ্বকাপ। হতাশার কথা হলো সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে শেষ ষোলো। তাও আবার সেটা সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে!
তবে পুরনো পরিসংখ্যান ভুলে মরক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই সৌদি আরবের কাছ থেকেই প্রেরণা খুঁজে নিচ্ছেন। যাদের কোচ হার্ভে রেনার্ড এক সময় এই মরক্কো দলেরও কোচ ছিলেন, ‘আমি সৌদি আরবের ম্যাচ দেখেছি। শুরুতে ওদের ৩১ শতাংশ পজেশন ছিল। লক্ষ্যেও বল ছিল ৩টি। পরে দেখলাম ওরাই আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিয়েছে। যাদের দলে ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় খেলে।’
মরক্কো দলের সাবেক কোচই এখন তাদের অনুপ্রেরণা। ওয়ালিদ নিজেই বলছেন, ‘আসলে রেনার্ডই আমাদের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন আমরাও পারবো। তাই সৌদি আরবের মতো একই অনুভূতি নিয়ে নামতে চাই।’
সাবেক মরক্কো খেলোয়াড় ওয়ালিদ কোচ হয়ে আসার পর থেকে দলটাকে নতুন করে গড়ে তুলেছেন। তার অধীনেই দলটা ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এখন রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়াকেও ভয় হচ্ছে না তাদের। নিজেদের কৌশলে আস্থা রেখেই এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য মরক্কো কোচের, ‘ক্রোয়েশিয়া যদি বল পজেশনে আমাদের সুযোগ না দেয় তাহলে সমস্যা নেই। আমরা তখন পেছনের দিকে আঁটোসাটো অবস্থান ধরে খেলবো। তার পর অবস্থা বুঝে কৌশল নির্ধারণ করবো।’